শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাঠে তবু তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা

মেজবাহ্-উল-হক

মাঠে তবু তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ যেন ‘কৌতুক’ লিগে পরিণত হয়ে গেছে! নির্দিষ্ট একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামলেই প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা আতংকে থাকেন। ওই দলটির বিরুদ্ধে ব্যাটিং করতে গেলে ব্যাটসম্যানের পায়ে লাগলেই যেন আউট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে যান আম্পায়াররা। আর একই দলের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বোলিং করতে গেলে প্রতিপক্ষ বোলারদের ঘাম ছুটে যায়! কেন না এলবিডব্লিউ কিংবা স্ট্যাম্পিং হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না। আর শেষ রাউন্ডে ‘ভিক্টোরিয়া-গাজী গ্রুপ’ ম্যাচ নাটকীয়ভাবে একদিন পিছিয়ে দেওয়া এবং ব্রাদার্সকে রেলিগেশন থেকে বাঁচাতে রূপগঞ্জের বিরুদ্ধে ম্যাচটি কৌশলে পরিত্যক্ত করার বিষয়টা কারও অজানা নয়। এমন হাস্যকর ঘটনার পরও লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিন্তু হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি।

কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। সেটা যেমন দলীয় লড়াই, তেমনি ব্যক্তিগত লড়াইও। গ্রুপ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকালেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে রয়েছে ভিক্টোরিয়া। এরপর চার দলের পয়েন্ট ১৪ করে। ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে ওঠা প্রাইম ব্যাংকের পয়েন্ট ১২। এখান থেকে যে কোনো দল শিরোপা জিততে পারে।

ব্যক্তিগত লড়াইও জমে উঠেছে। ব্যাটিংয়ে ১১ ম্যাচে ৫৫৮ রান করে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে শামসুর রহমান শুভর নাম। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা আবদুল মজিদ, ইমতিয়াজ হোসেন ও আল-আমিনের রানও পাঁচশর উপরে। তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের রানও ৪৯৭। শামসুর এক সেঞ্চুরি ও চার হাফ সেঞ্চুরিসহ ৫৫.৮০ গড়ে রান করেছেন। মজিদ শেষ দুই ম্যাচেই টানা সেঞ্চুরি করে লম্বা লাফ দিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। ভিক্টোরিয়ার এই ব্যাটসম্যান ৪৮.৯০ গড়ে করেছেন ৫৩৮ রান। ইমতিয়াজের গড় পঞ্চাশের উপরে (৫২.৬০)। দুই সেঞ্চুরি ও তিন হাফ সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বরের এই ওপেনার করেছেন ৫২৬ রান।

ভিক্টোরিয়ার আরেক ব্যাটসম্যান আল-আমিন ৫৫.৭৭ গড়ে করেছেন ৫০২ রান। একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। শেখ জামালের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৯.৭০ গড়ে করেছেন ৪৯৭ রান। দুই দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। তবে সেরা অলরাউন্ডারের তালিকা করলে সবার উপরে থাকবে মাহমুদুল্লাহর নাম। বোলিংয়ে এই আসরে চর্তুথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। মাহমুদুল্লাহ ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। 

অলরাউন্ডার হিসেবে আল-আমিন ৫০২ রান করার পাশাপাশি ১৪ উইকেট নিয়েছেন। অবশ্য এই তালিকা থেকে জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাকেই বা কেন বাদ দেওয়া হবে! এবারের আসরে সেঞ্চুরি করে কলাবাগানকে ম্যাচ জেতানোর রেকর্ড রয়েছে তার। বল হাতে ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। সব মিলে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হলেও বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা। কেন না ভিক্টোরিয়ার লঙ্কান স্পিনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২৩ উইকেট নিয়ে রয়েছেন শীর্ষে। বোলিংয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তিনিও মাশরাফির সমান ২২ উইকেট নিয়েছেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন মোহামেডানের নাঈম ইসলাম জুনিয়র, নিয়েছেন ২০ উইকেট।

সর্বশেষ খবর