বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেখ রাসেল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

শেখ রাসেল ৩ : ০ মুক্তিযোদ্ধা
শেখ জামাল ১ : ২ ব্রাদার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেখ রাসেল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

গ্রুপ রাউন্ডের ব্যারিয়ার টপকাতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডান। দুই শিরোপা প্রত্যাশীর বিদায়ে কিছুটা হলেও আবেদন কমেছে। ওয়ালটন ফেডারেশন টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার কঠিন সমীকরণে উঠে আসে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কোয়ার্টারে খেলতে হলে শেখ রাসেলের দরকার ছিল একটি ড্র। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সঙ্গে ড্র করলেই সেরা আটে জায়গা নিবে  শেখ রাসেল, এমন টার্গেটে গতকাল বিকালে খেলতে নামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। খেলতে নামে দলের সেরা স্ট্রাইকার ফিকরু টেফেইরাকে বাইরে রেখে। ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকার না খেললেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি। ৩-০ গোলে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জায়গা নেয় কোয়ার্টারে। ১৮ জুন বিকালে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা মুখোমুখি হবে পুরনো ঢাকার দল রহমতগঞ্জের।

গ্রুপ পর্বে স্বাধীনতা কাপের শিরোপাধারী চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। ওই ড্রয়ের পর বিপাকে পড়ে যায় দুই দলই। পরের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরে বিদায় নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। কোয়ার্টারে খেলতে শেখ রাসেলের দরকার দাড়ায় ন্যূনতম ড্র। কিন্তু জিতেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

গতকাল দিনের প্রথম খেলায় শেখ রাসেল ড্রয়ের টার্গেটে মাঠে নামেনি। শুরু থেকেই অলআউট ফুটবল খেলতে থাকে। অবশ্য সেরা আট নিশ্চিত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার কোচ  কাইয়ুম সেন্টু মূল একাদশের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে ছাড়া মাঠে নামে। ফলে শক্তি কিছুটা কমে যায় মুক্তিযোদ্ধার। শেখ রাসেল খেলতে নামে ফিকরুকে ছাড়া। ফিকরুকে খেলান হয়নি আনফিট থাকায়। কোচ মারুফুল নিজেই জানিয়েছেন ফিকরুর আনফিটের কথা, ‘ফিটনেসের ঝামেলা রয়েছে ফিকরুর। তাই তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’ ইথিওপিয়ান স্ট্রাইকার না খেলায় মূল স্ট্রাইকার হিসেবে কোচ মারুফ   ব্যবহার করেন ক্যামেরুনের জিন ইকাঙ্গাকে। দুর্দান্ত না খেললেও গোল করেছেন একটি ইকাঙ্গা। প্রতিপক্ষেও রক্ষণভাগ ভেঙেছেন বেশ কয়েকবার। তার ওপর দ্বিতীয়ার্ধে তার একটি দুর্দান্ত লব অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক। এর মধ্যে ২৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন ইকাঙ্গা। বাঁ প্রান্ত থেকে মোনায়েম রাজুর ক্রসে জটলায় বল পড়ে। জটলা থেকে একটু দূরে দাঁড়ানো ইকাঙ্গা পা ছুয়ে গোলের সূচনা করেন (১-০)। তিন মিনিট পর ৩২ মিনিটে চোখধাঁধানো গোল করেন মিডফিল্ডার শাহেদ। ডি বক্সের মাথা থেকে ইকাঙ্গা ব্যাক পাস করেন শাহেদকে। শাহেদ বল না  ধরে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকেও ডান পায়ের সেয়ার্ভিং শটে বোকা বানান মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক নাঈমকে (২-০)। চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সেরা গোল এটি। শুধু দৃষ্টিনন্দন গোলই নয়, ভালো খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন শাহেদ।  দুই গোলে এগিয়ে থেকে আক্রমণে কোনো ছাড় দেয়নি মারুফের শিষ্যররা। বিরতির বাঁশি বাজার দুই মিনিট আগে পল এমিলি ম্যাচের শেষ গোলটি করেন বক্সের বাইরে থেকে (৩-০)। দ্বিতীয়ার্ধে গোল না হলেও শেখ রাসেল বেশ কয়েকটি ধারালো আক্রমণ করে। গোলরক্ষক নাঈমের দৃঢ়তায় গোল হয়নি। এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ২-১ গোলে তারা হারিয়েছে শেখ জামালকে। ৭০ মিনিটে ইয়াসিনের গোলে জামাল এগিয়ে যায়। কিন্তু ৮২ ও ৮৩ মিনিটে অগাস্টিনের জোড়া গোলে পিছিয়ে থাকা ব্রাদার্স জিতে যায়। এই জয়ে তারা ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাদার্স লড়বে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। অন্যদিকে জামালের প্রতিপক্ষ আরামবাগ।

সর্বশেষ খবর