বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোহামেডানকে ছিটকে দিল আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মোহামেডানকে ছিটকে দিল আবাহনী

একের পর এক আক্রমণ করে মোহামেডানের রক্ষণভাগ ভেঙে ফেলে আবাহনীর খেলোয়াড়রা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের দুই ‘বিগ শট’ আবাহনী ও মোহামেডান। সত্তর, আশি ও নব্বই দশকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি-সব আসরেই শিরোপা ভাগাভাগি হতো দুই দলের মধ্যে। নতুন শতকে এসব এখন জমা পড়েছে স্মৃতির ভাগাড়ে। আবাহনী যাও সাফল্য পাচ্ছে, কিন্তু মোহামেডান এখন অস্তমিত সূর্য। অথচ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে সফল দলগুলোর অন্যতম মোহামেডান। চলতি মৌসুমে ফুটবলের রেসেই টিকতে পারছে না। রেসে নেই ক্রিকেটও। যাও ছিল হকিতে। গতকাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে ৪-২ গোলে হেরে শিরোপা রেস থেকে এক প্রকার ছিটকেই পড়েছে। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে শিরোপা রেসে টিকে থাকল আবাহনী। গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার হকি লিগে শিরোপা রেসে টিকে আছে এখন পুরনো ঢাকার দল ঊষা, মতিঝিলের দল আরামবাগ ও আবাহনী। চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে ১২ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ২৯, শীর্ষে থাকা ঊষার পয়েন্ট ৩৪, মেরিনার্সের পয়েন্ট ৩১ এবং মোহামেডানের ২৬।  শিরোপা রেসে টিতে থাকতে দুই দলের সামনে জয়ের বিকল্প ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথম আক্রমণে যায় মোহামেডান। ৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায় সাদা-কালো শিবির। সালমান হোসেনের হিট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়ে আবাহনীকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচান কাশিফ আলি। ১০ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে আবাহনীর আক্রমণ নস্যাৎ করে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক জাহিদ হোসেন। চার মিনিট আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করে মোহামেডান। স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদ জিমির আড়াআড়ি পাসে স্টিক ছোঁয়াতে পারেননি ওমর ভুট্টো। ফলে গোল পায়নি মোহামেডান। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে প্রথম গোল করে আবাহনী ২০ মিনিটে। দলের প্রথম পেনাল্টি কর্নারেই লক্ষ্যভেদ করেন কাশিফ আলি। শাফকাত রাসুলের পুশে বিপ্লব থামালে কাশিফ হালকা স্কুপে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। সাত মিনিট পর ২৭ মিনিটে গোলসংখ্যা দ্বিগুণ করে আবাহনী। শাকিল আব্বাসির হিট ডিফ্লেক্ট করে প্রান্ত পরিবর্তন করে ঢুকে পড়ে বক্সে। বল বেরিয়ে যাওয়ার পথে রাজিব দাস সামনে ঝাঁপিয়ে গোল করেন (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আবাহনী।

দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডান মরিয়া হয়ে ওঠে গোল শোধে। ৪২ মিনিটে ব্যবধান কমান রাসেল মাহমুদ জিমি। সালমান হোসেনের থ্রু পাসে জিমি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আলতো ব্যবধান ১-২ কমান। ৪৭ মিনিটে শাফকাত রাসুল কোনাকুনি হিটে গোলসংখ্যা (৩-১) করেন। ৬২ মিনিটে গোল পার্থক্য কমান ইমরান। আবাহনীর ডিফেন্ডার বিপ্লব মোহামেডান মশিউর রহমান ফিরোজকে বক্সে অবৈধভাবে রুখলে পেনাল্টি স্ট্রোক পায় মোহামেডান। পাকিস্তানি খেলোয়াড় গোল করেন। ৬৫ মিনিটে মোহামেডানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকে দেন রাজিব (৪-২)। ওই গোলের পর আবাহনী রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করলে আর গোল হয়নি। ফলে ৪-২ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।  

সর্বশেষ খবর