শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু ২০ জুলাই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু ২০ জুলাই

দ্বি-স্তরের নির্বাচক প্যানেল নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গণে। কেউই এই দুই স্তরের পলিসি মেনে নিতে পারছে না। এমন নির্বাচন প্যানেল নেই পৃথিবীর কোথাও। সমালোচকদের সমালোচনা কানে না তুলে ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা ভেবে দ্বি-স্তর পলিসিটাই চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। এর প্রতিবাদে জাতীয় দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ফারুক আহমেদ। ফারুকের পদত্যাগে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও আগের নির্বাচন কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। নিয়োগ দিলেও চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা এখনো সারেনি বিসিবি। ১ জুলাই নতুন নির্বাচন কমিটির সঙ্গে চুক্তি করবে। তবে কত দিনের জন্য এখনই জানাচ্ছে না ক্রিকেট বোর্ড। দায়িত্ব পাওয়ার পর নান্নু প্যানেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক অ্যাসাইনমেন্ট ইংল্যান্ড সিরিজ। অক্টোবর-নভেম্বরে সিরিজটির আয়োজক বাংলাদেশ। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের পারফরম্যান্স এবং জাতীয় দলের সর্বশেষ ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ২০ ক্রিকেটারকে নিয়ে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হচ্ছে ২০ জুলাই।

২৬ মার্চ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অবশ্য প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন। সেটাও শেষ। বিসিবি থেকে নানা সুবিধা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। লিগ শেষ এবং আগামী অক্টোবরের আগে আর কোনো ক্রিকেট নেই। লম্বা সময় বিরতি। এই সময়টা যাতে ক্রিকেটাররা বসে না থাকেন, তাই এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আয়োজন। কন্ডিশনিং ক্যাম্পের দেখ-ভাল করবেন ট্রেনার মারিও ভিলাভারায়ন।

৩০ জুন শেষ হয়েছে চন্ডিকা হাতুরাসিংহের মেয়াদ। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সর্বশেষ সভায় হাতুরাসিংহেসহ কোচিং স্টাফদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট পর্যন্ত। একই সঙ্গে দুই স্তরের নির্বাচক প্যানেলও চূড়ান্ত করেছে। আগের মতো তিন সদস্যের নির্বাচক প্যানেল ক্রিকেটার বাছাই করে স্কোয়াড তৈরি করবেন। স্কোয়াড তৈরি করে জমা দিবেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যানের কাছে। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান সেটা চূড়ান্ত করে জমা দিবেন বিসিবি সভাপতির কাছে এবং সভাপতি সিগনেচার দেওয়ার পর ঘোষণা করা হয় স্কোয়াড। এবার দল গঠনে সমস্যার তৈরি হতে পারে কোচ ও ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তিতে। ২০০৭ সালে ফারুক যখন প্রধান নির্বাচক ছিলেন, তখন কোচ ডেভ হোয়াটমোর নির্বাচন পলিসিতে ছিলেন। ৯ বছর পর ফের কোচ নির্বাচন পলিসিতে ফিরলেন। কিন্তু এই প্রথম ম্যানেজারকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। এতেই বিতর্কের সূচনা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য মানেজার সুজনের অন্তর্ভুক্তির ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘ম্যানেজারকে রাখা হয়েছে অধিনায়ক, সহ অধিনায়কের প্রতিনিধি হিসেবে।’

প্রধান নির্বাচনের দায়িত্ব পাওয়ার পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে এখনো কিছু বলেননি নান্নু। দল নির্বাচনে পলিসি কি হবে, কিংবা ম্যানেজারের রোলটা কি হবে? এসব প্রশ্নের উত্তরে কিছুই বলতে চাননি প্রধান নির্বাচক। শুধু বলেছেন, ‘বোর্ড অনুমতি দিলে কথা বলব।’ প্রধান নির্বাচক কিছু বলেননি। কিন্তু দল নির্বাচনের ম্যানেজারের বিষয়টি কিভাবে হ্যান্ডেল করেন, সেটা কিন্তু দেখার বিষয়। কেননা ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনকারী খালেদ মাহমুদ সুজন এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিচিত মুখ। তারচেয়ে ভালো করে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের কেউই চিনেন না ক্রিকেটারদের। এতে করে সমস্যা বাধাই স্বাভাবিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর