বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আইসল্যান্ড রূপকথা

ইংল্যান্ডের বিদায়

ক্রীড়া ডেস্ক

আইসল্যান্ড রূপকথা

আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ইংল্যান্ডের এক ক্ষুদে সমর্থক —এএফপি

ইউরোপিয়ান ফুটবলে আইসল্যান্ডকে কোনো সময়ই একটা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। বিশ্বকাপ দূরে থাক, ইউরো কাপেও কোনো সময় খেলা হয়নি ওদের। সেই দলটা একের পর এক বিস্ময় উপহার দিয়ে চলেছে ফুটবল দুনিয়াকে। বাছাইপর্বে তারা খেলেছে চ্যাম্পিয়নের মতো। তারপর গ্রুপ পর্বে পর্তুগাল, হাঙ্গেরি আর অস্ট্রিয়াকে তেমন একটা পাত্তাই দেয়নি। আর সোমবার ওয়েইন রুনির ইংল্যান্ডকে নিয়ে যেন ছেলেখেলাই খেলল ৩ লাখ ৩০ হাজার জন মানুষের দেশ আইসল্যান্ড! ২-১ গোলে ইংলিশদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে এসেই ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে নিল আইসল্যান্ড।

ওয়েইন রুনির গোল কোনো কাজেই এলো না ইংল্যান্ডের! এগিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের সঙ্গে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানেই দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন আইসল্যান্ডের সিগার্ডসন। এরপর কলবেইনের গোলে এগিয়ে যায় আইসল্যান্ড। এক দুঃস্বপ্নের রাত দেখতে পায় ইংলিশরা। শত আক্রমণেও আর তারা পরাস্ত করতে পারেনি আইসল্যান্ডের ডিফেন্সকে। এই আইসল্যান্ডকে এবার ভয় পেতে পারে স্বাগতিক ফ্রান্সও। ইংল্যান্ডকে বিদায় করে নিজেদের দিকে পুরো আকর্ষণটাই টেনে নিয়েছে ইউরোতে অভিষিক্ত এই দলটা। জয়ের পর ম্যাচের গোলদাতা সিগার্ডসন বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরা মনে করেছিল ম্যাচটা বুঝি পার্কে হাঁটার মতোই সহজ হবে। তবে আমরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছি।’ এই হারের দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ইংলিশ কোচ হজসন। তিনি বলেন, ‘এ ফলাফল নিয়ে আমি সত্যিই হতাশ। আমার মনে হয় এখন দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসা উচিত।’ হজসনের পদত্যাগের পর নতুন কোচও খুঁজতে শুরু করেছে ইংলিশরা। তবে আইসল্যান্ড রূপকথার এখানেই শেষ হবে বলে মনে হয় না। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তো বটেই, তাদের সরব উপস্থিতি দেখা যেতে পারে এমনকি বিশ্বকাপেও। তারা ইউরো কাপ খেলতে এসেছিল লক্ষ্যহীন থেকেই। তবে প্রতিটা ম্যাচেই নিজেদেরকে নির্ভার হিসেবে প্রমাণ করেছে আইসল্যান্ড। দেখা যাক, আইসল্যান্ড রূপকথার সমাপ্তি রেখা টানতে পারে কী-না ইউরোর স্বাগতিক ফ্রান্স!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর