রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

তবু সতর্ক ফ্রান্স

প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক

তবু সতর্ক ফ্রান্স

ফরাসিরা কেবল একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নই নয়, দুইবারের ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়নও। তাছাড়া ফরাসিদের রয়েছে এক উজ্জ্বল ফুটবলীয় অতীত। যেখানে মিশেল প্লাতিনি আর জিনেদিন জিদানের মতো মহাতারকারা আলো ছড়িয়েছেন। এসব বিবেচনায় আজকের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সই তো ফেবারিট। কিন্তু সবকিছু বদলে দিয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষের দেশটা। ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার একটা জন্ম দিয়েছে তারা। ইউরো কাপের শেষ ষোল থেকেই ফেবারিট ইংল্যান্ডকে বিদায় করে নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক আসরেই নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। আইসল্যান্ডের এ অর্জনকে এখন আর কেউই খাটো করে দেখছে না। এমনকি স্বাগতিক ফ্রান্সও নয়।

ফ্রান্স এবং আইসল্যান্ড অতীতে ১১বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ৮ বারই জিতেছে ফরাসিরা। বাকি তিনবার ড্রতে শেষ হয়েছে। পরিসংখ্যান ফরাসিদের পক্ষে থাকলেও ইউরোপীয়ান ফুটবলের ‘আইসল্যান্ড রূপকথাকে’ ভুলতে পারছে না ফ্রান্স। ফরাসি ডিফেন্ডার ব্যাকারি সাগনা বলছেন, ‘আমি জানি না কী হবে। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যা ঘটেছে তা অন্যদের সঙ্গেও হতে পারে। পর্তুগালের সঙ্গেও তো এমনটা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই ভালো দল। সুতরাং আমাদের বিপক্ষেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে।’ তাই বলে ভয়ে ঘরে বসে থাকার নয় ফরাসিরা। সাগনা বলেছেন, ‘আমাদেরকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা যে কোনো কঠিন লড়াই করার প্রস্তুতিই নিয়েছি।’ ফ্রান্সের এমন সতর্ক অবস্থানকে অস্বীকার করতে পারছে না আইসল্যান্ডও। ইউরোপীয়ান ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করা এ দলের তারকা ফুটবলার বুডভারসন বলেন, ‘এ ম্যাচটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হবে। ফ্রান্স অনেক ভালো ফুটবল খেলে। তারা বল দখলে রাখে। কাউন্টার আক্রমণেও দারুণ। এ কারণেই ওদের সঙ্গে খেলা অনেক কঠিন।’ তার মতে, ফ্রান্স যে কোনো মুহূর্তেই খেলার গতি পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাছাড়া অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান আর পল পগবার মতো দারুণ কিছু ফুটবলারও রয়েছে ফ্রান্সের। এ কারণেই আইসল্যান্ড আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে। তাছাড়া পরিসংখ্যানও তো ফ্রান্সের পক্ষেই। নিজেদের মাটিতে গত ১৬ টা ম্যাচ তারা অপরাজিত। দেখা যাক, আইসল্যান্ড রূপকথা এবার ফরাসিদের গতি রুখতে পারে কী না!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর