মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পর্তুগিজ ‘নায়ক’ এডার

ক্রীড়া ডেস্ক

পর্তুগিজ ‘নায়ক’ এডার

বছরের শুরুতেও কি এমন স্বপ্নের কথা ভেবেছিলেন এডার? নিশ্চিত করে বলা যায়, না। ভাবার কোনো কারণও নেই। গত মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব সোয়ানসি সিটির পক্ষে ১৫ ম্যাচে ছিলেন গোলশূন্য। অথচ তার পরিচয় একজন স্ট্রাইকার। সেই এডারই কি না ইতিহাস গড়লেন। লিখলেন সোনালি অক্ষরে পর্তুগালের ইউরো সেরা হওয়ার ইতিহাস। তার গোলেই অধরা ইউরো সেরার খেতাব জিতে নিল পর্তুগাল। 

স্পোর্টিং ব্রাহা থেকে গত বছর ৫০ লাখ পাউন্ডে সোয়ানসি সিটি কিনে নিয়েছিল এডারকে। অনেক আশা নিয়ে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার। কিন্তু কাজের বেলায় ছিলেন ঠনঠনে।  ইংলিশ দলটির পক্ষে ১৫ ম্যাচে খেলে আরাধ্য গোলের দেখা পাননি। শুধু তাই নয়, সব মিলিয়ে গোলবার লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন মাত্র ৪টি। সেই এডার কি না রচনা করলেন ইতিহাস। সোয়ানসিতে ব্যর্থতার পর ধারে চলে আসেন ফরাসি ক্লাব লিলেতে। ফ্রান্সে এসেই বদলে যায় ভাগ্য। ১৩ ম্যাচে গোল করেন ৬টি। তাতেই নজরে পড়েন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের। ২৮ বছর বয়সী এডারকে ডেকে নেন ইউরো দলে। পর্তুগালের পক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে গোল করে কোচকে আশ্বস্থ করেন, তাকে নেওয়াটা ভুল হয়নি। অবশেষে নিজেকে পুরোপুরি প্রমাণ করেন ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে। ২৪ মিনিটে রোনালদো আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেও তিনি মাঠে নামেন ৭৯ মিনিটে। অবশেষে ১০৯ মিনিটে স্বপ্নের সেই গোলটি করেন। গোলটি করেই এখন স্বপ্নের নায়ক এডার। ম্যাচ শেষে আনন্দের সাগরে ভাসতে থাকা এডার বলেন, ‘এই গোলটির জন্য ইউরো প্রথম মিনিট থেকেই আমি অপেক্ষা করছিলাম।’ গোলটি করে পর্তুগালের জয়ের নায়ক এখন জনপ্রিয়তায় রোনালদোর পরে। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর