পাঁচ দিনের শর্ট কোর্সের চতুর্থ দিন পার হলো গতকাল। আজ শেষ দিন। এরপর বেলজিয়াম উড়ে যাবেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ টম সেইন্টফিট। হাই-প্রোফাইল কোচ সেইন্টফিট কৌশলের জন্য প্রথম দিনই নজর কেড়েছেন মামুনুলদের। গতকাল চার দিনের অনুশীলন শেষে জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম স্পষ্ট করে জানান, কোচ আক্রমণাত্মক মেজাজের ফুটবল পছন্দ করেন।
সেইন্টফিটকে নিয়োগ দেওয়া হয় এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্লে অফে ভুটানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচের জন্য। ৬ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর ঢাকা ও থিম্পুতে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলবে বাংলাদেশ। সেইন্টফিটের নাইজেরিয়ার কোচ হওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। অবশ্য ঢাকায় পা রেখে স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, তিনি এসেছেন বাংলাদেশের কোচ হয়ে। ঢাকায় পা রাখার দিন থেকেই কোচিং করাচ্ছেন। চার দিনের অনুশীলন শেষে কোচের মূল্যায়ন করতে গিয়ে মামুনুল বলেন, ‘আমি অনেক কোচের তত্ত্বাবধানে খেলেছি। কারও সঙ্গে কারও তুলনা করব না। একেকজনের কোচিং পরিকল্পনা একেক রকম। কেউ অ্যাটাকিং ফুটবল খেলান, কেউ কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর, কেউ বা ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলান। চার দিনের অনুশীলনে আমার মনে হয়েছে সেইন্টফিট আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন।’ কোচকে অনেক বেশি মেজাজিও মনে হয়েছে দেশসেরা ফুটবলারের, ‘অনুশীলনে একদম ফাঁকি পছন্দ করেন না। অনুশীলনে যদি কেউ ভুল করেন, তাহলে তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না। আবার ফান করতেও দ্বিধা করেন না। তবে উনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন ডিসিপ্লিন।’ ভুটানের র্যাংকিং ১৯২। বাংলাদেশের ১৮৩। ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। তার পরও পচা শামুকে পা কাটার মতো করে সংশয় থেকে যাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের মনে। ম্যাচ দুটি প্রসঙ্গে মামুনুল বলেন, ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। আমরা যদি ভুটানকে হারিয়ে বাছাই পর্ব খেলতে না পারি, তাহলে আমি বলব পেশাদার ফুটবলের কোনো লেভেলেই আমাদের খেলার সামর্থ্য নেই।’