বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ছন্দ ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছন্দ ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ২০১৫ বছরটা ছিল সোনায় মোড়ানো এক বছর। বিশ্বকাপে সাফল্য, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পর র‍্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বর থেকে ৭-এ উঠেছিল টাইগাররা। কিন্তু এতো সাফল্যের পরও দীর্ঘ বিরতি। গত বছরের নভেম্বরের পর বাংলাদেশ আর কোনো ওয়ানডে খেলেনি। আর শেষ টেস্ট তো খেলেছে গত জুলাই-আগস্টে। যত ভালো দলই হোক এই লম্বার বিরতির পর আগের ছন্দে ফেরা কঠিন। এতো তো আর ক্রিকেটারদের কারও হাত নেই। তাই আইসিসির এই বিমাতাসূলভ আচরণ মেনে নিতেই হবে। তবে মাঝে বিরতি যতই থাকুক না কেন ছন্দটা ধরে রাখার জন্য বদ্ধপরিকর টাইগাররা। জাতীয় দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল বলেন, ‘একজন যখন ছন্দে থাকে, তখন কিন্তু আমরা বুঝতে পারি, যে এভাবে করলে এটা হবে, আর এভাবে করলে এটা হবে। কিন্তু ওই ছন্দটা যখন  ভেঙে যায় তখন তা ধরা একটু কঠিন হয়ে যায়। এটা আসলে বাংলাদেশের সঙ্গে গত ১০ বছর ধরেই হচ্ছে। গত বছর ছাড়া আমরা ওভাবে (টানা ম্যাচ) কখনোই খেলতে পারি নাই। গত বছর আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি, আমাদের ফলাফলও জানায়, আমরা অনেক ভালো  খেলেছি।’

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজটি হবে কিনা জঙ্গি হামলার পর তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। তবে টাইগাররা নিজেদের প্রস্তুত করে রাখছেন। কঠোর অনুশীলন করছেন। জয়ের অভ্যাসটা গড়তে চান তামিম। তিনি বলেন, ‘খেলা দেশের মাটিতে হোক, বিদেশের মাটিতে হোক- খেলা খেলাই, জেতা জেতাই; যেখানেই জেতেন না কেন। তবে আমাদের এখানে জয়ের অভ্যাস গড়ে, দেশের মাটিতে সিরিজ জিতে- বাইরে যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’ তামিম বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে গিয়ে আমরা ভালো খেলি, ম্যাচ জিতি... তাহলে অবশ্যই এটা অন্যরকম আত্মবিশ্বাস দিবে।’

ইংল্যান্ড সিরিজের পরই বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর। সে কারণেই এই ফাঁকা সময়ে ফিটনেস লেবেলকে বাড়িয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তামিম বলেন, ‘যখন একটা সিরিজের মাঝে থাকি তখন খুব একটা সুযোগ থাকে না ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। এখন যেহেতু আমাদের সুযোগ আছে, আমাদের হাতে কয়েক দিন সময় আছে...এই ফিটনেস ক্যাম্প যদি পুরোটা করতে পারি তাহলে এটা একটা বছর পুরোটায় কাজে দেবে।’ ড্যাসিং ওপেনার বলেন, ‘অক্টোবরে খেলা শুরু হওয়ার পর কিন্তু এতো গ্যাপ নাই, একটার পর একটা সিরিজ হবে। এই ফিটনেস ক্যাম্প আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কথা হল যে, যে ধরনের মনোভাব খেলোয়াড়দের রয়েছে... সেটা আসলে খুবই ইতিবাচক দিক। ফিটনেস সেশনের পরও নিজেরাই ইচ্ছা করে বাড়তি কাজ করছে। তাই এটা খুবই একটা ইতিবাচক দিক।’

সর্বশেষ খবর