মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ফের বিতর্কিত রেফারিংয়ের শিকার শেখ রাসেল

শেখ জামাল ১-১ রহমতগঞ্জ
শেখ রাসেল ১-২ চ. আবাহনী

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

ফের বিতর্কিত রেফারিংয়ের শিকার শেখ রাসেল

রেফারির কাছে অসহায় শেখ রাসেল। অফসাইডে গোল অথচ তা না ধরে চট্টগ্রাম আবাহনীর পক্ষে গোলের বাঁশি বাজালেন রেফারি। প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি। বিতর্কিত সিদ্ধান্তে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় শেখ রাসেলকে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফের বিতর্কিত রেফারিংয়ের শিকার শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। বিতর্কিত রেফারিংয়ের শিকার হয়ে এ নিয়ে পেশাদার লিগে টানা তিন ম্যাচই হারল শেখ রাসেল। অথচ আবাহনীর বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল শেখ রাসেলের। ভালো খেলেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে ম্যাচে ১-২ গোলে হেরে যায় শেখ রাসেল। দেশের আলোচিত দলকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের খেলা চলছে এতেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর বাজে রেফারিংয়ের পরও নীরব ভূমিকা পালন করছে বাফুফে।

ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে শেখ রাসেল। প্রথম অংশের প্রায় পুরোটায়ই ছিল শেখ রাসেলের আধিপত্য। সুযোগ ছিল একাধিক গোলে এগিয়ে থাকার। কিন্তু দুর্বল রেফারিংয়ের কারণে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি শেখ রাসেলের। খেলার প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। ডি বক্সের বাইরে একটি ফ্রি কিক পায় শেখ রাসেল। ডান প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার মোনায়েম রাজুর ফ্রি কিক থেকে ফরোয়ার্ড ফিকরু হেড নেওয়ার মুহূর্তে রেফারি বাঁশি বাজান। এর দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া বক্সে লব করলে শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার মিন্টুর হেডের বলটি উল্টো আচরণ করে। বলটি আবাহনীর ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম পেয়ে গেলে দারুণ গ্রাউন্ড শটে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। ১৯ মিনিটে ফিকরু একটি বল বাড়িয়ে দিলে অফ সাইডের সংকেত দেন সহকারি রেফারি। পরের মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর লিওনেল প্রিয়ক্স চিপ করলে বাঁ প্রান্ত থেকে অধিনায়ক মামুনুল সাইড ভলিটি গোলবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ২২ মিনিটে সতীর্থ খেলোয়াড়ের দেওয়া বল শহীদ মাঠের মধ্যে রিসিভ করলেও থ্রোর নির্দেশ দেন সহকারী রেফারি। একইভাবে পরবর্তী ২০ মিনিট শেখ রাসেলের বিপক্ষে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ৪১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় শেখ রাসেল। রাজুর নেওয়া ফ্রি কিক আবাহনীর ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলেও তা চলে আসে মিন্টুর পায়ে। তার নেওয়া জোরালো ভলি কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আবাহনীর গোলরক্ষক রানা। ৪৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে জিয়াং ইকাঙ্গা লব করলে সতীর্থ ফিকরুর নেওয়া হেডটি কিপার ফিক্সড করলে জামাল ভুইয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন ১-১-এ। সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতি থেকে ফিরে আরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে শেখ রাসেল। কিন্তু প্রথমার্ধের দ্বিতীয় অংশেও ভুল রেফারিংয়ের শিকার হয় শেখ রাসেল। ৬০ মিনিটে ফরোয়ার্ড লিওনেল প্রিয়ক্স ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে মাইনাস করলে ছোট বক্স থেকে শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ৭৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণ করে মারুফের শিষ্যরা। রাজুর দেওয়া মাইনাস থেকে অসাধারণ সাইড ভলি করেন ইকাঙ্গা। তার নেওয়া শটটি সাইড বারের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৮৮ মিনিটে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে এগিয়ে যায় আবাহনী। কৌশিকের দেওয়া মাইনাস থেকে বল পায় অফ সাইডে দাঁড়িয়ে থাকা লিওনেল। রেফারি পরিষ্কার অফ সাইড না দিলে লিওনেল প্লেসিং শট করে বল জড়িয়ে দেন জালে। এ সময় শেখ রাসেলের খেলোয়াড়রা অফ সাইডের দাবিতে রেফারিকে ঘিরে ধরলেও তাদের ন্যায্য আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। ফলে ম্যাচে ১-২ গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ফের বিতর্কিত রেফারিংয়ের শিকার শেখ রাসেল। রেজার নেওয়া ফ্রি কিকের সময় শেখ রাসেলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ডি বক্সের মধ্যে ফেলে দেয় আবাহনীর খেলোয়াড়রা। এ সময় পেনাল্টির আবেদন করা হলেও সাড়া দেননি রেফারি। ম্যাচের পর শেখ রাসেলের প্রধান কোচ মারুফুল হকও জানালেন ভুল রেফারিংয়ের কথা। তিনি বলেন, ‘আবাহনীর দ্বিতীয় গোলটা ছিল অফ সাইড। তা না হলে ফলাফল অন্যরকম হতো।’

এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জ ১-১ গোলে ড্র করে। শেখ জামালের ওয়েডসন ও রহমতগঞ্জের জুনাপি গোল করেন।

সর্বশেষ খবর