শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

জেতা ম্যাচ ড্র করল শেখ রাসেল

শেখ রাসেল ১-১ বিজেএমসি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি


জেতা ম্যাচ ড্র করল শেখ রাসেল

প্রথমে গোল করে এগিয়ে গেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি শেখ রাসেল —বাংলাদেশ প্রতিদিন

একই দৃশ্য। একের পর এক আক্রমণ শেখ রাসেলের। আগের চার ম্যাচে না হলেও গতকাল গোল করে এগিয়ে যান মারুফের শিষ্যরা। ম্যাচের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল সহজভাবেই জয়ের ধারায় ফিরবে। আগের চার ম্যাচে হার, দুটিতেই ছিল রেফারির পক্ষপাতিত্ব। ময়মনিসংহ পর্বে একতরফা খেলেও গোল মিসে জেতা ম্যাচে উল্টো হেরে যায় ফেনী সকারের কাছে। জেতার জন্য মরিয়া শেখ রাসেল। গতকাল তাই টিম বিজেএমসির বিপক্ষে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলা খেলতে থাকে। ফেবারিট দল টানা চার ম্যাচে হারা মানে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়া— তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেটা কাটাতে জয়ের ধারায় ফিরে আসাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও বিজেএমসিকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামে। কোনো অবস্থায় পয়েন্ট হারানো যাবে না— এ প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নামে তারা। তা আর হলো কই, পঞ্চম ম্যাচেও পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি শেখ রাসেল। ময়মনসিংহে বিজেএমসির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আরও দুটি মূল্যবান পয়েন্ট নষ্ট করে।

ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে শেখ রাসেল গতকাল মাঠে নামার  ১২ মিনিটের মাথায়ই গোল পেতে পারত। কিন্তু ভাগ্যদেবী সহায় হননি। সাখাওয়াত রনির কাছ থেকে পাওয়া বলটি অরুণ বৈদ্য বক্সে ঢোকার আগেই পড়ে যান। তখন গোলরক্ষক একাই ছিলেন। ২২ মিনিটের মাথায় শেখ রাসেলের গোলকিপারের দক্ষতায় টিম বিজেএমসির ইলিয়াসু বল জালে নিতে পারেননি।  ২৪ মিনিটে আসে শেখ রাসেলের টার্নিং পয়েন্ট। রনিকে ফাউল করায় ফ্রি কিক পায় শেখ রাসেল। সেই একই মিনিটে আবার ফ্রি কিক পায় শেখ রাসেল। তখন বল পায়ে নেন মোনায়েম খান রাজু। তার দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ইকাঙ্গার দুরন্ত হেডে লিড নেয় দলটি।

৩৯ মিনিটে রেফারি অনেকটা বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ওই সময়ে ইসাইকে ফাউল না হলেও বাঁশি বাজান রেফারি। এ সময় প্রেসবক্সে থাকা সাংবাদিকদের মাঝে কানাঘুষা দেখা যায়। এরপর ৪৪ মিনিটে আরও একবার লিড নিতে পারত শেখ রাসেল। সাখাওয়াত রনি পোস্ট ফাঁকা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তবে ৪৯ মিনিটে সুযোগ মিস করেনি টিম বিজেএমসি। স্যামসন থেকে তপুর ক্রসে জিকুর কোনাকোনি প্লেসিং শটে সমতায় ফিরে টিম বিজেএমসি। আবার এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে শেখ রাসেল। বিরোধীর দুর্গে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে দলটি। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। যার প্রমাণ ৬৮ মিনিটে সাখাওয়াত রনির বাড়ানো বলে গোলমুখে মিঠুনের মারতে না পারা। ৮০ মিনিটে আবার সুযোগ পায় বিগ বাজেটের দল শেখ রাসেল। ম্যাচের ভাগ্য হয় তো তখনই নির্ধারণ হতে পারত। কিন্তু রাজন মিয়ার স্কয়ার পাসে রনি গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে ঢুকাতে পারেননি বল। উল্টো সহজভাবে বিপক্ষের গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেয়। শেষ সুযোগ পায় খেলার ৮৬ মিনিটে মারুফুল হকের শিষ্যরা। জামাল ভুইয়া সেই ফ্রি কিকটি নষ্ট করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যদেবী সহায় না হওয়ায় ম্যাচ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে রয়েল ব্লুজরা।

সর্বশেষ খবর