শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুই ভায়রার লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুই ভায়রার লড়াই

প্রস্তুতি ম্যাচে ৯০ রানের ইনিংস খেলার পথে সুইপ করছেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম —বাংলাদেশ প্রতিদিন

লাল দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সবুজ দলের অধিনায়ক নাসির হোসেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘোষিত প্রাথমিক স্কোয়াডের ৩০ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দুই দল করা হয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ৫০ ওভারের ম্যাচে নাসিরের সবুজ দলকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফির লাল দল।

তবে লড়াইটা হয়েছে দুই ভায়রা ভাই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের মধ্যে। সবুজ দলের হয়ে মুশফিক ৯০ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে দুই ভায়রা ভাই ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ দুজনই কাল ব্যাট হাতে নেমেছিলেন দলের বিপর্যয়ের সময়। দুজনই সফল। প্রস্তুতির ম্যাচে জয়-পরাজয়ের চেয়ে তাদের দুই ইনিংসই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে ও নির্বাচক কমিটির সদস্য ড্রেসিং রুমের সামনে চেয়ারে বসে উপভোগ করেছেন দুই ভায়রা ভাইয়ের ইনিংস দুটি।

ইনজুরিতে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় গতকাল লাল দলে নেওয়া হয়েছে গত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মেহেদি হাসান মিরাজকে। কাটার মাস্টার না থাকলেও বোলিংয়ে দুর্দান্ত দাপট দেখিয়েছেন মাশরাফিরা। তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৯৪ রানেই গুড়িয়ে দেয় সবুজ দলকে। মুশফিকুর রহিম ছাড়া সবুজ দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি। 

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক ১০৯ বলে করেছেন ৯০ রান। তার ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে অধিনায়ক নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে। ৪৭.৮ ওভারেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস।

মাশরাফিদের ক্যারিশম্যাটিক বোলিংয়ের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারেননি নাসিররা। শুরুতেই হয়ে যায় কোণঠাসা। মাত্র ৪১ রানেই ৫ উইকেটের পতন ঘটে। শুরুর ধাক্কাটা শেষ পর্যন্ত আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি সবুজ দল। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুশফিকের সঙ্গে নাসির ১০০ রানের জুটির কারণেই শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক স্কোর করে সবুজ দল। লাল দলের বোলারদের মধ্যে তাসকিন মাত্র ১৮ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। মাশরাফি ৬ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। শুভাশিষ রায়, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি শিকার করেছেন একটি করে উইকেট।

টার্গেট বড় নয়। তারপরেও শুরুতে একটা বড় ধাক্কা খায় লাল দল। মাত্র ১৯ রানেই সাজঘরে ফিরে যান তাদের তিন ব্যাটসম্যান। এরপর মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন লাল দলের হাল ধরেন। মোসাদ্দেক ৫০ বলে ৩৫ রানে আউট হয়ে গেলেও ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। এছাড়াও লাল দলের হয়ে সোহরাওয়ার্দী শুভ ২৬ ও নুরুল হাসান সোহান ২১ রানের ইনিংস  খেলেন। সবুজ দলের বোলারদের মধ্যে শফিউল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া আল আমিন  হোসেন নেন একটি উইকেট। লাল দল ও সবুজ দল আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে।

স্কোর কার্ড

সবুজ দল : ১৯৪/১০ (৪৭.৪ ওভার) (ইমরুল ১, এনামুল ১, নাফিস ০, লিটন ৭, মুশফিক ৯০*, শুভাগত ১৩, নাসির ৪৭, মুক্তার ৬, শফিউল ১০, তাইজুল ২, রুবেল ২; তাসকিন ৪/১৮, মাশরাফি ২/১৪, মিরাজ ১/২১,  শুভাশিষ ১/২৫।

লাল দল : ১৯৬/৭ (৪৪.৪ ওভার) (তামিম ৬, সৌম্য ১১, সাব্বির ০, রিয়াদ ৬২, মোসাদ্দেক ৩৫, নুরুল হাসান ২১, শুভ ২৬, মাশরাফি ০,  মেহেদী হাসান ৯; শফিউল ৩/১৮, তাইজুল ৩/৩৩, আল আমিন ১/৩১)

ফল : লাল দল ৩ উইকেটে জয়ী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর