শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

পেনাল্টি মিসের আক্ষেপ শেখ রাসেলের

শেখ রাসেল ৩-৪ টারটোন্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেনাল্টি মিসের আক্ষেপ শেখ রাসেলের

এএফসি কাপের বাছাইপর্বে খেলার হাতছানি ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। ড্র করলেই প্লে-অফের বাছাইপর্ব টপকে পরবর্তী রাউন্ডে যেত। কিন্তু পেনাল্টি মিসের খেসারত গুনে সেই সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরের রানার্সআপরা। স্বাগতিক ভুটানের টারটোনসে্র বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৪-৩ গোলে হেরে যায় শেখ রাসেল। ফলে ঝুলিতে ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে আসর থেকে।  

প্রথম ম্যাচে চাইনিজ তাইপের ক্লাব টাটুংয়ের সঙ্গে এগিয়ে থেকেও রক্ষণভাগের দুর্বলতায় ১-১ গোলে ড্র করেছিলেন জামাল ভুইয়ারা। টাটুংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল স্বাগতিক ভুটানের টারটোনস্। ফলে গতকালের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করতে পারলেই শেখ রাসেলের জায়গা হতো পরের রাউন্ডে। কিন্তু দুর্বল রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের ভুলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে মারুফুল হকের শিষ্যরা। সাত মিনিটে প্রথম জোরালো আক্রমণে যায় দলটি। ডান দিক থেকে রুবেল মিয়ার ডান পায়ের তীব্র ভলি কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন টারটোনসে্র এক ডিফেন্ডার। দুই মিনিট পর ইকাঙ্গা ঠিকমতো বল দিতে না পারায় গোল পায়নি শেখ রাসেল। ১৮ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল করে বসে স্বাগতিক দল। মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে স্ট্রাইকার চেঞ্চো গাইয়েলতসেন মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগিয়ে নেন টারটোনসেক (১-০)।

২০ মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ডি বক্সের বাইরে থেকে জামাল ভুইয়ার ফ্রি কিকে ইকাঙ্গার নিখুঁত হেড ঠিকানা খুঁজে পায় (১-১)। ইকাঙ্গা প্রথম ম্যাচেও গোল করেছিলেন। সমতায় ফেরার পরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে মারুফুলের শিষ্যরা। ৩০ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। বাঁ প্রান্তের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে তিসেরিং ওয়াংডি হেড করেন। বল পড়ে ছোট বক্সের জটলায়। সেখান থেকে ফের হেডে দলকে এগিয়ে নেন তেনজিং দর্জি (২-১)। ৩৫ মিনিটে তিসেরিং ওয়াংডি দলের তৃতীয় গোল করেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটনের ভুলে। তিসেরিংয়ের বল ফিস্ট না করে গ্লাভসবন্দী করতে গেলে বল ফসকে ঢুকে পড়ে জালে (৩-১)। ৪১ মিনিটে ব্যবধান ৪-১ করেন চেঞ্চো। ম্যাচে চেঞ্চোর এটা দ্বিতীয় গোল। রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের দুর্বলতায় প্রথমার্ধে ১-৪ গোলে পিছিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে শেখ রাসেল।

ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে গতিশীল ফুটবল খেলে বিপিএলের গত মৌসুমের রানার্সআপ দলটি। এর মধ্যেই লিটনকে বদলিয়ে নামানো হয় জিয়াউর রহমানকে। এরপর আর কোনো গোল খায়নি শেখ রাসেল। এর মধ্যেই বাংলাদেশের ক্লাবটি দুই দুটি গোল করে খেলায় প্রাণ ফিরিয়ে আনে। তার চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেননি শাখাওয়াত হোসেন রনি। মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। কিন্তু গোল করতে পারেননি রনি। ৬৬ মিনিটে রনি পেনাল্টির ব্যর্থতা ভুলে ব্যবধান কমান (২-৪)। ৭০ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-৩ করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার ইকাঙ্গা। ম্যাচে এটা তার দ্বিতীয় এবং আসরে তিন নম্বর গোল।

সর্বশেষ খবর