স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। স্বস্তি ফিরেছে ক্রিকেটে। ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ প্রায় ভেস্তেই গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় সফরটি হচ্ছে অবশেষে। এর মাঝে ঢাকা ও চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে বাংলাদেশে এসেছিল তিন সদস্যের নিরাপত্তা পরিদর্শক দল। তারা সফর শেষে ইংল্যান্ড গিয়ে রিপোর্ট জমা দেন এবং বৃহস্পতিবার রাতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকসন। ওই বৈঠকের পরই চূড়ান্ত হয় ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর। সফরের নিশ্চয়তা দিলেও ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সফরের বিষয়ে। যে কেউ ইচ্ছা করলে সফরে যেতে পারেন, কেউ আবার স্বইচ্ছায় সরে দাঁড়াতেও পারেন। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের এমন নিশ্চয়তার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ সফরে কি পূর্ণ শক্তির ইংল্যান্ড দল আসবে?
দুই ভাগে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড। ৩০ সেপ্টেম্বর ইয়ান মরগানের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা আসবেন ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। ৭ ও ৯ অক্টোবর প্রথম দুটি ওয়ানডে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এবং ১২ অক্টোবর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ২০-২৪ অক্টোবর প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামে এবং ২৮ অক্টোবর-১ নভেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে। ২ নভেম্বর ঢাকা ছাড়বে ভারত সফরের জন্য। দুটি সিরিজের জন্য ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কি সবাই আসবেন? শোনা যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের প্রথম ১০ হাজার রানের মালিক ও টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক নাও আসতে পারেন সফরে। ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, নিরাপত্তাহীনতার জন্য বাংলাদেশ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন না কুক, পারিবারিক কারণে আসছেন না তিনি। ইংল্যান্ড যখন বাংলাদেশ সফরে থাকবে, তখন কুকের স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেবেন। স্ত্রীর পাশে থাকতেই সফর করতে চাইছেন না ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক। যদিও কুক এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। অবশ্য শুধু কুকই নন, শোনা যাচ্ছে ফাস্ট বোলার কাম অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট ব্রডও আসতে চাইছেন না। ৯৮ টেস্ট খেলা ব্রড আসতে চাইছেন না নিরাপত্তার অজুহাতে। ক্রিকেটাররা যদি নাও আসেন, তাহলে কিছু বলবে না বোর্ড। কেননা বোর্ড পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে ক্রিকেটারদের। চলতি পাকিস্তান সিরিজ দেখেই দল চূড়ান্ত করবে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড।
কে আসবেন, কে আসবেন না— তা এখনই জানা যায়নি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও জানায়নি। তবে ইংলিশ মিডিয়ার ভাষ্য, ইংল্যান্ড সফর করলেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আসছেন না। পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে ইংল্যান্ড দল না এলেও তাদের সফর বাংলাদেশে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে, কোনো সন্দেহ নেই।