নিরাপত্তা বিশ্লেষক রেগ ডিকাসনের সবুজ সংকেতের পর ১ জুলাইয়ের জঙ্গি হামলা নিয়ে যে আতঙ্ক ছিল তা কেটে গেছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক এখনো ভয় পাচ্ছেন বাংলাদেশের নির্বাচনী সহিংসতার ছবি মনে করে। সে কারণেই এখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন মরগান।
২০১৩ সালে গাজী ট্যাংকের হয়ে ঢাকায় প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলতে এসেছিলেন মরগান। তখনই বাংলাদেশ সম্পর্কে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল উত্তাল। পেট্রল বোমার আতঙ্ক চারদিকে। তার আগে ২০১০ সালেও একবার আইপিএলে খেলতে এসে বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর ক্রিকেটারদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর ওই সব ঘটনা থেকেই এবারের সফরে আসতে ভয় পাচ্ছেন মরগান। তিনি বলেন, ‘আইপিএলের ওই ম্যাচের পর আমাদের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবিশ্বাস্যরকম উত্তাল দেখেছি।’ মরগান বলেন, ‘আমি আগেও এমন জায়গায় খেলতে গিয়েছি যেখানে ততটা নিরাপত্তা ছিল না। যদিও এমন জায়গায় আমি কখনোই খেলতে চাই না। কেননা এমন জায়গায় ক্রিকেটের প্রতি মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’ মরগান বাংলাদেশে আসবেন কি না এখনো তা পরিষ্কার করে বলেননি। এদিকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রস ক্রিকেটারদের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। যারা বাংলাদেশ সফরে আসবে না তাদেরকে আজকের মধ্যেই জানাতে বলেছেন। তবে এই সফরে যদি মরগান না আসেন তাহলে অধিনায়কত্বও হারাতে পারেন।