ফাইনালে উঠার আগেই ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছিলেন জার্মান তরুণী অ্যাঞ্জেলিক কারবার। ইউএস ওপেনে মেয়েদের এককের এ দ্বিতীয় বাছাই এবার শিরোপাটাও নিশ্চিত করলেন। গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টে এটা তার দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া ওপেনে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জিতেছিলেন অ্যাঞ্জেলিক কারবার। এবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠার উৎসবটা শিরোপা জিতে দারুণভাবেই উদযাপন করলেন জার্মান এই তরুণী।
নিউইয়র্কে শনিবার ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিসকোভাকে ৬-৩, ৪-৬, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতা ২৮ বছর বয়সী কারবার। দারুণ এ জয়ের পর জার্মান তরুণী বলেছেন, ‘আমার সব স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। আমি এ মুহূর্তটা উপভোগ করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারণ এক অর্জন। আমি দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। এটা আমার কাছে অনেক কিছু।’ অ্যাঞ্জেলিক কারবারের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। এরপর থেকে মাঝে মধ্যেই বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো তিনি ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। সে সময় তিনি মেয়েদের এককে র্যাঙ্কিংয়ের ৯২ নম্বরে অবস্থান করছিলেন! চলতি বছরটা সত্যিই দারুণ হয়ে দেখা দিল তার কাছে। অস্ট্রেলিয়া ওপেন জয়ের পর গত উইম্বলডনেও খেলেছেন ফাইনাল। অবশ্য সেখানে সেরেনা উইলিয়ামসের দুর্দান্ত টেনিসের সামনে তাকে হার স্বীকার করতে হয়েছে। তবে এবার তিনিই জয়ের পতাকা উড়ালেন। চতুর্থ মেয়ে হিসেবে একই টুর্নামেন্টে সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামসকে হারানোর গৌরব অর্জনকারী চেক তরুণী প্লিসকোভাকে হারিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন অ্যাঞ্জেলিক কারবার। শীর্ষস্থান অর্জন করলেও সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে এ জার্মান তরুণীর পয়েন্টের ব্যবধান খুব একটা নেই। অ্যাঞ্জেলিক কারবারের পয়েন্ট ৮৭৩০ আর সেরেনা উইলিয়ামসের রয়েছে ৭০৫০ পয়েন্ট। যে কোনো মুহূর্তেই পয়েন্টের এই ব্যবধান ঘুচিয়ে দিতে পারেন সেরেনা। তবে অ্যাঞ্জেলিক কারবার নিজেকে সেরা স্থানে ধরে রাখতে সক্ষম বলেই দাবি করছেন।
এদিকে অ্যাঞ্জেলিক কারবারের কাছে হেরেও খুশি চেক তরুণী ক্যারোলিনা প্লিসকোভা। ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনাল খেলে তিনি দারুণ আনন্দে আছেন। তাছাড়া যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরেছেন বলে তেমন একটা আফসোসও নেই তার। তিনি বলেন, ‘অ্যাঞ্জেলিক কারবার অসাধারণ টেনিস খেলেন। তাকে অভিনন্দন।’ পুরুষ এককের ফাইনালে গত রাতেই মুখোমুখি হয়েছেন নোভাক জকোভিচ এবং স্ট্যান ওয়াওরিঙ্কা। ইনজুরি আক্রান্ত জকোভিচের সামনে ওয়াওরিঙ্কা বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিলেন। তবে জকোভিচের বিরুদ্ধে অতীতটা খুব বাজে এ সুইস তারকার। অবশ্য এতক্ষণে নিশ্চয়ই সবার জানা হয়ে গেছে, স্ট্যান ওয়াওরিঙ্কা তার জকোভিচ গেরোটা খুলতে পেরেছেন কি না!পুরুষ দ্বৈতে ইএস ওপেনের শিরোপা জিতেছেন ব্রিটিশ জেমি মারে এবং ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো সোয়ারেস জুটি। তারা স্পেনের পাবলো-গুইলারমো জুটিকে ৬-২, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন ফাইনালে।