শিরোনাম
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হকিতে স্বস্তির হাওয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হকিতে স্বস্তির হাওয়া

পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পনা দরকার। পরিকল্পনা করে এগিয়েছে বলে বাংলাদেশের ক্রিকেট শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে। অন্য খেলায় সেভাবে সাফল্য আসছে না। বড় দুই খেলা ফুটবল ও হকিতে করুণ অবস্থা। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। ফুটবল উন্নয়ন নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। তারপরও মানোন্নয়নে কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা চোখে পড়ছে না। হকি বরং অনেক আগে থেকেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জনপ্রিয় এ খেলাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে গ্রুপিং আর নানা দ্বন্দ্বে হকির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল ক্রীড়ামোদীরা। বিশেষ এক মহল চেয়েছিল অচলাবস্থা সৃষ্টি করে ফেডারেশনকে বিপাকে ফেলে দেওয়া।

যাক সেই ছক বা ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। কালো মেঘ কেটে গিয়ে হকিতে এখন স্বস্তির বাতাস বইছে। মতোবিরোধ ভুলে গিয়ে এই খেলাকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বাফুফের কর্মকর্তারা নীরব থাকলেও হকিতে প্রাণ চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জার্মানির কার্টজকে। সহকারী হিসেবে নেওয়া হয়েছে আরও চার জার্মানকে।

কোচ নিয়োগের পাশাপাশি হকি ফেডারেশন প্রাথমিকভাবে সাতটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। হকিতে পেশাদারিত্ব আনতে বড় ধরনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সামনে বাংলাদেশ লড়বে এএইচএফ কাপে। যা অনুষ্ঠিত হবে হংকংয়ে। আর এক মাস ধরে ক্যাম্প চলবে জার্মানিতে। ইতিমধ্যে বেশ ক’জন খেলোয়াড় জার্মানিতে অবস্থান করছেন। শুধু অনুশীলন নয় সেখানে ১২টি প্রস্তুতি ম্যাচেও অংশ নেবে। দেশে ফিরে চূড়ান্ত দল গড়বে। ঢাকায় ২০/২৫ দিন ক্যাম্প করে জাতীয় দল উড়ে যাবে হংকংয়ে। আসলে হকি ফেডারেশন যে ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তা থেকে বাফুফের অনেক কিছু শেখার আছে। মূল ফান্ডটা দিচ্ছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনীর। ফুটবল ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তা উন্নয়নের জন্য নিজ পকেট থেকে অর্থ দেবেন তা ভাবাই যায় না। হকিতে তা হচ্ছে, এক সময় মতোবিরোধ থাকলেও হকির বৃহত্তর স্বার্থে কর্মকর্তারা মিলেমিশে কাজ করছেন।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দেশের হকি কিংবদন্তি আবদুস সাদেক বলেছেন, উন্নয়নে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখব না। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তরিত করা যাবে। সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আল মুনীর বলেন, হকিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে তা সম্ভব। তিনি বলেন, এক সময় পরাশক্তি থাকলেও ভারত ও পাকিস্তানের হকির অবস্থান এখন নাজুকই বলা যায়। দেখেন সব ফেভারিটকে পেছনে ফেলে আর্জেন্টিনা অলিম্পিক গেমসে সোনা জয় করেছে। ফুটবলের দেশ হকিতে এতদূর এগিয়ে যাবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। পরিকল্পনা ও পরিশ্রম করে আর্জেন্টিনা হকিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের হকির অবস্থান মজবুত করতে হলে পরিকল্পনা করেই এগুতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর