শিরোনাম
বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সপ্তম সিরিজ জয়ের অপেক্ষা

মেজবাহ্-উল-হক

সপ্তম সিরিজ জয়ের অপেক্ষা

কখন বৃষ্টি থামবে? অপেক্ষা করছেন নাসির ও মাহমুদুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিও থামেনি, অনুশীলনেও নামা হয়নি দুই দলের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

লড়াইটা শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও! শেষ ওয়ানডে ম্যাচের ঘটনায় দুই দলই ফুঁসছে। তবে ক্ষোভটা বোধহয় মাশরাফিদেরই বেশি। কেননা টাইগার ক্যাপ্টেনসহ বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে জরিমানা করা হয়েছে। আর ইংলিশ ক্যাপ্টেনকে করা হয়েছে কেবল তিরস্কার! প্রথম দুই ম্যাচে সিরিজে ১-১ সমতা থাকায় এমনিতেই আজকের ম্যাচটি হয়ে গেছে ‘অঘোষিত’ ফাইনাল। তবে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে খেলার বাইরের বিতর্কের ঘটনা। মাশরাফিরা আজ প্রস্তুত হয়ে আছেন পারফরম্যান্স দিয়েই ইংলিশদের জবাব দিতে।

আজ ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলেই দেশের মাটিতে টানা সপ্তম সিরিজ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়বেন মাশরাফিরা। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ঘরের মাঠে টানা সপ্তম সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে ইংলিশদেরও। তবে হোমে সবচেয়ে বেশি সিরিজ জয়ের রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ১৭টি সিরিজ জিতেছিল প্রোটিয়ারা। তাই বাংলাদেশ আজ ইংল্যান্ডকে হারালে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। তবে এসব রেকর্ড টেকর্ড নিয়ে মোটেও ভাবছেন না মাশরাফিরা। তাদের লক্ষ্য একটাই জিততে হবে। ইংল্যান্ডকে এক বিন্দুও ছাড় দিতে রাজি নয় টাইগাররা। তা ছাড়া ‘পয়মন্ত’ ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা বলে জয়ের পাল্লা যেন আগে থেকেই ঝুঁকে আছে বাংলাদেশের দিকে।

২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সাত বছরে এই ভেন্যুতে মাঠে গড়ানো ১১টি ওয়ানডের মধ্যে ৯টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই ইংলিশদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয়। তবে দুই হারের মধ্যে একটি আবার এই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। সেটা ২০১০ সালের মার্চের ঘটনা। এই দলের সঙ্গে সেই দলের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। তখন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘নাবালক’, আর এখন পুরাদস্তুর ‘সাবালক’। তাই পয়মন্ত ভেন্যুতে আজ ফেবারিটের তকমা গায়ে মেখেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

আজ মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ‘লোকাল হিরো’ তামিম ইকবালও। আর মাত্র ৩৮ রান হলেই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন ড্যাসিং ওপেনার। তামিম ইকবাল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব রেকর্ড নিজের নামে করে নিলেও ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে এখনো কোনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি। তবে এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের মালিক কিন্তু তিনিই (৪১ গড়ে করেছেন ৪৫২ রান)। সর্বোচ্চ জুটিতেও রয়েছেন তামিম। ২০১৪ সালে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে প্রথম উইকেটে ১৫৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। তামিম এই মাঠে বাংলাদেশের হয়ে সব শেষ দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৭৬ রানের ইনিংসের পর গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস। লোকাল হিরোর সেঞ্চুরির আক্ষেপটা হয়তো আজই পূরণ হয়ে যেতে পারে!

তবে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে ওয়ানডে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব আল হাসান। তবে সর্বোচ্চ উইকেটও কিন্তু সাকিবের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগারও সাকিবের। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।

শুধু তামিম, সাকিব নয়, আজকের ম্যাচকে ঘিরে পুরো দলই উজ্জীবিত। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচে সিরিজ ১-১ হওয়ার পর চট্টগ্রামে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ওই ম্যাচে ৯ উইকেটে বিশাল জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী আজও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন ম্যাচে টসই বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। যদিও সব শেষ ম্যাচে টসে হেরেও জিতেছিল বাংলাদেশ। তা ছাড়া টস তো ভাগ্যের খেলা। তাই টস নিয়ে না ভেবে শুধু ম্যাচ জয়ের মন্ত্রই জঁপছে বাংলাদেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর