বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মেসি-রোনালদোকে নিয়েই আলোচনা

ক্রীড়া ডেস্ক

মেসি-রোনালদোকে নিয়েই আলোচনা

ফিফা ব্যালন ডি’অর শুরু হওয়ার আগে থেকেই লড়াইটা দুজনের মধ্যে ছিল— লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর ফিফা ব্যালন ডি’অরের শেষটাও হলো এ দুজনের লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই। ফিফার সঙ্গে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের চুক্তি শেষ হওয়ায় এবার থেকেই আলাদা হয়ে যাচ্ছে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার আর ব্যালন ডি’অর। নতুন করে শুরু হওয়া ব্যালন ডি’অরেও লড়াইটা থাকছে মেসি-রোনালদোর মধ্যে। নতুন করে শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে প্রথম ট্রফি কে জিতবেন! গত সোমবার ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন পাঁচ জন করে মোট ছয় ধাপে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন গতবার চূড়ান্ত তালিকায় থাকা লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং নেইমার।

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে দুরন্ত খেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

তাছাড়া পর্তুগালকে প্রথমবারের মতো উপহার দিয়েছেন উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। সবমিলিয়ে তিনিই এগিয়ে থাকছেন লড়াইয়ে। তবে লিওনেল মেসিও কম করেননি। বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন লা লিগা ও কোপা দেল রে কাপ। তাছাড়া আর্জেন্টিনাকে তুলেছেন কোপা আমেরিকার ফাইনালে। যদিও কোপা আমেরিকা জিততে পারেননি তিনি। তবে সবমিলিয়ে এবারের লড়াইটাও মেসি-রোনালদোর মধ্যেই হতে পারে। অবশ্য ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার এবার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠতে পারেন। প্রথমবারের মতো ব্রাজিলকে অলিম্পিক সোনা জিতিয়েছেন তিনি। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। তাছাড়া গত মৌসুমে বার্সেলোনার দুই শিরোপা জয়ে তার ভূমিকাও কম ছিল না। বার্সেলোনার আক্রমণভাগের ‘এমএসএন’ এর আরেক সদস্য লুইস সুয়ারেজও আছেন তালিকায়। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ক্লাবটির জোড়া শিরোপা জয়ে অসামান্য অবদান তার; ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরও আছেন গ্যারেথ বেলে, অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান, পল পগবা, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, সার্জিও আগুয়েরো। রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বেলে জাতীয় দলের হয়েও ছিলেন বেশ সফল। তার দারুণ নৈপুণ্যে ভর করেই প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে এসেই সেমিফাইনালে ওঠে ওয়েলস। ফরাসি দুই তারকা গ্রিজম্যান ও পগবাও বছরজুড়ে ছিলেন ধারাবাহিক।

ঘরের মাটিতে হওয়া এবারের ইউরোয় ফ্রান্সের ফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল তাদের। গ্রিজম্যান কোনো শিরোপা জিততে পারেননি; কিন্তু  অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কারটি দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো এ পুরস্কার। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া হতে থাকে বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে। ২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়েছিল। তবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে মিলে পুরস্কারটি দেওয়ার চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এ বছর থেকে আবার একাই ব্যালন ডি’অর দেবে ফ্রান্স ফুটবল।

 

২০১৬ ব্যালন ডি’অরের ৩০ জন

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা), নেইমার (বার্সেলোনা), লুইস সুয়ারেজ (বার্সেলোনা), গ্যারেথ বেলে (রিয়াল মাদ্রিদ), অঁতোয়ান গ্রিজম্যান (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), পল পগবা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), সার্জিও আগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি), পিয়েরে-এমেরিক ওবামেয়াং (বুরুসিয়া ডর্টমুন্ড), বুফন (জুভেন্টাস), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি), পাওলো ডিবালা (জুভেন্টাস), দিয়েগো গডিন (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), গঞ্জালো হিগুয়েন (জুভেন্টাস), জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা), কোকে (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), টনি ক্রুজ (রিয়াল মাদ্রিদ), রবার্তো লিওয়ান্দোভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ), হুগো লরিস (টটেনহ্যাম), রিয়াদ মাহরিজ (লিস্টার সিটি), লুকা মডরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ), থমাস মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ), ম্যানুয়েল নিউয়ার (বায়ার্ন মিউনিখ), দিমিত্রি পায়েত (ওয়েস্ট হ্যাম), পেপে (রিয়াল মাদ্রিদ), রুই পাত্রিসিও (স্পোর্টিং লিসবন), সার্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ), জেমি ভার্ডি (লিস্টার সিটি) ও আর্তুরো ভিডাল (বায়ার্ন মিউনিখ)

 

ফিফা ব্যালন ডি’অরজয়ী

     সাল     বিজয়ী

     ২০১০    লিওনেল মেসি

     ২০১১     লিওনেল মেসি

     ২০১২     লিওনেল মেসি

     ২০১৩     ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

     ২০১৪      ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

     ২০১৫     লিওনেল মেসি

সর্বশেষ খবর