বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অবহেলায় অ্যাথলেটিক্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবহেলায় অ্যাথলেটিক্স

অ্যাথলেটিক্সে উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় সাফ গেমসে শাহ আলম দ্রুততম মানব হন। তখন ভারতের অ্যাথলেট কোচ বলেছিলেন বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারলে এশিয়ান গেমসে পদক জেতাটা অসম্ভবের কিছু হবে না। ১৯৯৩ সাফ গেমসেও ঢাকায় দ্রুততম মানব হন বাংলাদেশের বিমল তরফদার। একসময় এই খেলার জনপ্রিয়তাও কম ছিল না। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে ঘাসের ওপর সাদা দাগ কেটে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। গ্যালারি প্রায় ভরে যেত দৌড় দেখতে।

অ্যাথলেটদের দাবি ছিল আলাদা ট্র্যাক করতে হবে। তা না হলে মান বাড়ানো সম্ভব নয়। আশির দশকে মিরপুর স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক বসে। অনেক আগে তা সরিয়েও নেওয়া হয়। এখন যেখানে ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আধুনিক ট্র্যাক বসে। বনানী আর্মি স্টেডিয়াম ও বিকেএসপিতেও ট্র্যাক রয়েছে। এরপরও অ্যাথলেটিক্সের বেহাল দশা কাটছে না কেন। অ্যাথলেটরা বলেন, মান উন্নয়নে শুধু ট্র্যাকই যথেষ্ট নয়, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা না পেলে আমরা এগিয়ে যাব কীভাবে।

কথা হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেখানে অ্যাথলেটিক্সকে প্রাধান্য দিচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ নীরব কেন? আন্তর্জাতিক গেমসগুলোর খারাপ করলেই অ্যাথলেটদের তিরস্কার করা হয়। কিন্তু তারা যে কী অবস্থায় গেমসে যাচ্ছে তা কি কেউ ভাবে। এবার লিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা এক মাসও অনুশীলন করতে পারেননি। সেখানে তাদের ভালো কিছু আশা করব কীভাবে? অলিম্পিক না হয় বাদই দিলাম, এখানে পদক জেতা সম্ভবই নয়। কিন্তু এশিয়ান গেমসে কি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিতে পারে?

এস এ গেমসেও তো একই অবস্থা। অ্যাথলেটিক্সকে কেন অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে সেটাই প্রশ্ন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস আক্ষেপ করে বলেন, ‘চেষ্টা তো করছি মানোন্নয়নের। কিন্তু উপযুক্ত ফান্ড না পেলে উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা কি করা যায়? তবে আমি এখনো আশাবাদী অ্যাথলেটিক্সে সুদিন ফিরে আসবেই।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর