শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

টুকিটাকি

আনসারির অপয়া-১৩

ইংলিশ মিডিয়া জাফর আনসারিকে তুলনা করছে প্রখর প্রতিভাবান ক্রিকেটার মাইক বেয়ারলের সঙ্গে। বেয়ারলের মতো ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বলেই নয়, আনসারির তুখোড় ক্রিকেটীয় মেধার জন্য। কিন্তু সেই আনসারির শুরু হলো ‘অপয়া-১৩’ দিয়ে। অর্থাৎ টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই ১৩ রান দিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। ১৩ রানের ১২টিই এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। কাভার ও মিড অফ দিয়ে পরপর ২ বলে দুটি দর্শনীয় বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছেন তামিম।

প্রথম ধাক্কা

চট্টগ্রাম টেস্টে রিভিউ থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে ইংল্যান্ড। ২৬টি রিভিউর অধিকাংশ সিদ্ধান্তই গেছে তাদের পক্ষে। ভারতীয় টিভি আম্পায়ার সুন্দরম রবির সহানুভূতির কারণে যেন ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলোও তাদের পক্ষে যায়। তাই গতকালও প্রথম রিভিউটা নেয় ইংল্যান্ড। স্পিনার মঈন আলীর করা ইংনিসের ১৪তম ওভারের শেষ বলটি তামিমের প্যাডে লাগার সঙ্গে সঙ্গে লেগ বিফোরের আবেদন করে ইংল্যান্ড। কিন্তু লঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা তাতে কর্ণপাত করেননি। পরে রিভিউ নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। ঢাকা টেস্টে রিভিউয়ে প্রথম ধাক্কা খায় ইংলিশরা।

ধর্মসেনার ভুলে শুরু

তামিম ইকবালের ব্যাটে কিংবা গ্লোভসেও লাগেনি কিন্তু আউট দিয়ে দিলেন লঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। বেন স্টোকসের সুইং বল কিছু বাঁক খেয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউর আবেদন করেন তামিম ইকবাল। রিপ্লেতে দেখা যায় তামিমের কোনো স্পর্শই লাগেনি বলে। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। এটি ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ধর্মসেনার প্রথম ভুল।

স্বপ্নিল এক সেশন

টেস্টে ভালো করার পূর্বশর্ত হচ্ছে সেশন বাই সেশন ভালো করতে হবে। গতকাল দিনের প্রথম সেশনেই ক্যারিশমা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ১ রানের মাথায় ইমরুল কায়েস আউট হওয়ার পর তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি গড়েন মুমিনুল হক। এ জুটিই প্রথম সেশন শেষ করেন। দাপটের সঙ্গেই ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১১৮ রান; যেখানে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৮ আর মুমিনুলের ৪৪। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটি ছিল বাংলাদেশের স্বপ্নিল এক সেশন!

বেয়ারস্টোর বোল্ট দৌড়

আদিল রশিদের ওভারের আগের বলেই তামিম ইকবালের ক্যাচ ড্রপ করেছেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। বাংলাদেশের ওপেনার তখন ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ক্যাচ মিস করার পরের বলটিও গ্রিপ করতে পারেননি। বল থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে সীমানার দিকে চলে যায়। সেখানে কোনো ফিল্ডারও ছিলেন না বলে অগত্যা বেয়ারস্টো দ্রুত হেলমেট ও গ্লোভস খুলে উসাইন বোল্টের গতিতে যেন দৌড় শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত সফল হন। বাউন্ডারি আটকে দেন। তবে বেয়ারস্টো বল ফেরত পাঠানোর আগেই তামিম ৩ রান নিয়ে নেন। ঘটনাটি ছিল ইনিংসের ৩১তম ওভারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর