শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেখ রাসেলের অনুশীলন ক্যাম্পে সাদেক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেখ রাসেলের অনুশীলন ক্যাম্পে সাদেক

শেখ রাসেলের ফুটবল ক্যাম্পে সাবেক নন্দিত ফুটবলার আবদুস সাদেক —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেক। জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন। হকিতে তার খ্যাতি কারও অজানা নয়। আবাহনীর হকি দলেরও প্রথম অধিনায়ক। কিন্তু ফুটবলেও সাদেকের ক্যারিশমা ভোলার নয়। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনীর অভিষেক ঘটে তারই নেতৃত্বে। অর্থাৎ আবাহনী ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক সাদেক। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর দলের কোচও হন। ১৯৭৭ সালে তারই প্রশিক্ষণে আবাহনী অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়।

হকির আকাশে যখন কালো মেঘ দেখা দেয় তখন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে এ খেলার অচলাবস্থা দূর করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই হকিতে তার ব্যস্ত সময় কাটছে। তাতে কী, শত ব্যস্ততার মধ্যেও ফুটবলের খোঁজ ঠিকই রাখছেন সাদেক। ফুটবলাররা পরামর্শ নিতে ছুটে যান তার কাছে। আবাহনীতে খেলেছেন কিন্তু সময় পেলেই বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের অনুশীলন ক্যাম্পে হঠাৎ হাজির সাদেক। তাকে দেখে কর্মকর্তা, কোচ ও খেলোয়াড়রা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিগ বাজেটে শক্তিশালী দল গড়েও পেশাদার লিগে শেখ রাসেল সুবিধা করতে পারছে না। ১২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ মাত্র ৮ পয়েন্ট।

সাদেক মাঠে কিছুক্ষণ অনুশীলন দেখলেন। তারপর খেলোয়াড়দের কাছে থাকলেন। বললেন, ‘তোমরা এখন ক্লাব থেকে যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছ, আমাদের আমলে তা কল্পনা করা যেত না। ভালো পেমেন্ট পাচ্ছ, উন্নত মাঠে প্রশিক্ষণ, নানা রকমের জার্সি, দামি বুট, চমৎকার পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা। এত সুবিধা, তার পরও ফলাফল এমন হবে কেন? খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু শুধু হারবই তা তো হতে পারে না। আমরা মাঠে দলের জন্য উজাড় করে দিতাম। তোমরা মাঠে মনোযোগী হয়ে খেল, দেখবে এ অবস্থা কেটে যাবে। ১ গোল খেলেই ভেঙে পড়তে হবে, এই মানসিকতা দূর করতে হবে।’ সাদেক বলেন, ‘শেখ রাসেলে তো ভালো মানের খেলোয়াড়ের অভাব নেই। বিদেশি কালেকশনও ভালো। আমি আশা করব যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়ে তোমরা জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে। ভালো দল খারাপ খেললে এর প্রভাব শুধু ক্লাবে পড়বে না, জাতীয় দলেও পারফরম্যান্সের ব্যাঘাত ঘটবে। এসব মাথায় রেখেই খেলতে হবে।’

কোচ মানিক বলেন, ‘সাদেক ভাইয়ের উপদেশ শক্তির টনিক হিসেবে কাজ করবে। আশা করি, এ হতাশা দূর হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর