শিরোনাম
শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজকোট টেস্টেও মেহেদী মিরাজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টেস্ট খেলছে ভারত ও ইংল্যান্ড। কিন্তু আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশের বিস্ময় বালক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে। বাংলাদেশে দুই টেস্ট সিরিজে ১-১ ড্র করেছে ইংল্যান্ড। চট্টগ্রামে কোনোক্রমে জিতলেও ঢাকা টেস্টে ইংলিশরা হার মেনেছে ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। ওয়ানডেতে এখন ইংল্যান্ডকে হারানোটা প্রত্যাশিত হলেও টেস্টে বাংলাদেশ জিতবে তা কেউ ভাবতেই পারেনি। স্বয়ং টাইগার কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য তার শিষ্যদের নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ জিততে পারবে না এই ধারণা তিনিও করেছিলেন। কিন্তু শিষ্যরা দেখিয়ে দিয়েছে তাদের সামর্থ্য। বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে ইংলিশরা দাঁড়াতে পারেনি। তিন স্পিনার মেহেদী, সাকিব ও তাইজুলই প্রতিপক্ষকে দিশাহারা করে ছেড়েছেন।

তবে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে মেহেদীকে ঘিরেই। চট্টগ্রাম টেস্টেই অভিষেক হয় এই তরুণের। দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের চার ইনিংসে ১৯ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন তিনি। বাংলাদেশে ইংলিশরা ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। কোনো ইনিংসে ৩০০ রানও তোলা সম্ভব হয়নি। ছিল না কারও সেঞ্চুরি। কিন্তু ভারতে গিয়ে ইংল্যান্ডের রূপ পাল্টে গেছে। রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে রুট, মঈন আলী, স্টোকসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫৩৭ রান করেছে। পেস বা স্পিন কোনো কিছুই কাজে আসেনি। আর এতেই ধারাভাষ্যকারের মুখে মেহেদীর নাম। তার ঘূর্ণিতে ইংলিশরা দিশাহারা ছিল উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু ধারা বর্ণনা নয়, দুই দেশের সিরিজ নিয়ে বিশ্লেষকদের কলামেও প্রাধান্য পাচ্ছে মেহেদীর নাম। জিওদ বয়কট তার কলামে লিখেছেন, ভারতে বিশ্বখ্যাত স্পিনার রয়েছে। তাদের বল তো ভালোই খেলছে ইংল্যান্ড। তা না হলে এত রান কি হয়। এতেই বোঝা যায় মেহেদীর বোলিং কত অসাধারণ ছিল। ফলাফল কী হবে তা এখনো অনিশ্চিত। তবু ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করেছেন বয়কট। ঢাকা টেস্ট হেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল কুকরা। কিন্তু এর প্রভাব রাজকোটে পড়েনি।

সর্বশেষ খবর