রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রশ্নবিদ্ধ রেফারিং : বাফুফের উপলব্ধি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রশ্নবিদ্ধ রেফারিং : বাফুফের উপলব্ধি

ফুটবলে রেফারিং নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। বিতর্কিত বাঁশি বাজানো নিয়ে ঢাকা লিগে অঘটনও কম ঘটেনি। ঘরোয়া ফুটবলে আগের সেই জনপ্রিয়তা নেই বলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে না। বাফুফে থেকে বার বার বলা হচ্ছে দেশে মানসম্পন্ন  রেফারি থাকায় ভাড়াটে অর্থাৎ বিদেশি রেফারির প্রয়োজন পড়ছে না। বাস্তবে তা কি মেনে নেওয়ার মতো। এমনিতেই ফুটবলে সংকটাপন্ন অবস্থা। মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দল এখন ফুটবলের পেছনে অর্থ খরচ কর না। ক্লাবের ডাইরেকটর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঞা নিজেই বলেছেন ফুটবলে এখন যে মান তাতে ফুটবলারদের লাখ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে লাভ নেই। তারপরও এই জনপ্রিয় খেলা যেন হারিয়ে না যায় তা গুরুত্ব দিয়ে কিছু ক্লাব ঠিকই অর্থ ব্যয় করছে।

চলতি মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী বিগ বাজেটে দল গড়ে। শিরোপা লড়াই এই তিন দলেরই হওয়ার কথা। কিন্তু প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স প্রদর্শন না করায় শেখ রাসেল শিরোপা লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে। এমনটি হতে পারেই, শক্তিশালী দল গড়েও ট্রফি না জেতার অনেক নজির আছে। কিন্তু রেফারির ভুল বাঁশির খেলাটা খেলতে পারে না। এবার পেশাদার লিগে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শেখ রাসেলের বিপক্ষে রেফারির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। চট্টগ্রামে প্রথম পর্বে শেখ রাসেল টানা তিন ম্যাচ হারার পেছনে বাজে রেফারিংকেই দায়ী করা যায়। এনিয়ে মিডিয়ায় অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবু গুরুত্ব দেয়নি লিগ কমিটি।

শুক্রবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে রেফারি জালাল উদ্দিনের বাঁশি বাজানো দেখে মনে হয়েছে তিনিও যেন শেখ রাসেলের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নেমেছেন। অযথা অফসাইড ও ফেনীর অনুকূলে ফাউল ধরা ছাড়াও প্রথমার্ধে তিনি যে কাণ্ড ঘটালেন যা দেখে দর্শকরাও অবাক হয়ে যান। ফেনী সকারের সুশান্ত ইচ্ছাকৃতভাবেই শেখ রাসেলের শাখাওয়াত হোসেন রনিকে ধাক্কা মারেন। এই অপরাধে সুশান্তই লাল কার্ড পাওয়ার কথা। কিন্তু রেফারি রনিকেও লাল কার্ড দেখিয়ে বহিষ্কার করেন। এক্ষেত্রে বড় জোর রনিকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করা যেত। কিন্তু ব্যালেন্স করতে গিয়ে রেফারি এই কাজ করলেন। অন্যায় করবে একজন আর ব্যালেন্স করতে আরেকজনকে লাল কার্ড দেখাবেন তা কি হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ডি-বক্সের ভিতর রুম্মনকে ফাউল করলেও রেফারি পেনাল্টি এড়িয়ে যান। এতে করে কি প্রমাণ মেলে? যদিও শেখ রাসেলকে রুখা সম্ভব হয়নি। পিছিয়ে থেকেও গতিময় খেলা খেলে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে মানিকের শিষ্যরা। কিন্তু এমন প্রশ্নবিদ্ধ রেফারি ফুটবলের যে ক্ষতি করে তা কি বাফুফের কর্মকর্তারা উপলব্ধি করছেন? কোনো মহলকে সন্তুষ্ট করতে রেফারি বাঁশি বাজান তাহলে ফুটবল আর মাঠে নামিয়ে লাভ কি? টেবিলে সিদ্ধান্ত হলেই তো চলে?

সর্বশেষ খবর