মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পেশাদার লিগের বেহাল দশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেশাদার লিগের বেহাল দশা

দর্শকশূন্য গ্যালারিতে পেশাদার লিগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে —ফাইল ফটো

৯ বছর ধরে দেশের পেশাদার ফুটবল লিগ হচ্ছে। অথচ মান উন্নয়নের কোনো লক্ষণ নেই। এসএ সুলতান বাফুফে সভাপতি থাকা অবস্থায় পেশাদার লিগের যাত্রা হয়। তিনি বলেছিলেন এই লিগ দেশের ফুটবলের চেহারা পাল্টে দেবে। ২০০৮ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দেন পেশাদার লিগে নতুনত্ব আনা হবে। এতে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন ফুটবলার।

দেখতে দেখতে ৯টি মৌসুম অতিক্রম করতে যাচ্ছে। কিন্তু পেশাদার লিগ দেশের ফুটবলে পরিবর্তন আনতে পেরেছে কি? এটা ঠিক ফুটবলারদের পারিশ্রমিক আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু উন্নতির চেয়ে ফুটবলে অবনতি ঘটেছে বেশি। যার প্রমাণ ভুটানের কাছে ধরাশায়ী হওয়া। ফিফা র্যাঙ্কিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৮ নম্বরে। পেশাদার লিগ চালু করে অন্যান্য দেশ যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে এমন করুণ পরিণতি কেন? ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন পেশাদার লিগ চালু করে সর্বনাশই হয়ে গেছে। কারণ পেশাদার লিগে প্রকৃত পক্ষে পেশাদারিত্ব নেই।

এই লিগ চালাতে ফিফার যে শর্ত রয়েছে তার অধিকাংশই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মানা সম্ভব নয়। এ নিয়ে ফিফা বা এএফসি কড়াকড়িও আরোপ করেনি। কিন্তু সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সামান্য চাহিদাগুলো মেটাতে পারছে না ক্লাবগুলো। ২/৩টি ক্লাব ছাড়া প্রতি বছরই খেলোয়াড়দের পেমেন্ট বাকি রাখছে। বিদেশিরাও অভিযোগ তুলছে চুক্তি মোতাবেক তাদের অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে না। কেউ কেউ আবার বিনা চুক্তিতে খেলছেন। কোচদের অবস্থাতো আরও করুণ। যদি কেউ পেমেন্ট না পাওয়ার প্রমাণ ফিফাকে দেখাতে পারেন তাহলে শুধু ক্লাব নয় বাফুফের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পারে। এসব অনিয়মের তথ্য বাফুফের অজানা নয়। তারপরও কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। উপায়ও নেই তারাইতো আবার ক্লাবগুলোর সঙ্গে জড়িত। বয়সভিত্তিক লিগ বাধ্যতামূলক তারপরও কেউ মানছে না।  মাঠের অভাবে অনেক ক্লাবই নিয়মিত অনুশীলন করতে পারছে না। ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলাতেও লিগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারপরও দর্শকের সাড়া মিলছে না। দেশের এক নম্বর লিগ। এছাড়া বাফুফের তেমন কর্মসূচি নেই। এমনিতেই ফুটবলের করুণ হাল। এমন অব্যবস্থাপনায় লিগ চলতে থাকলেতো অদূর ভবিষ্যতেও ফুটবল জেগে উঠবে না। বাফুফে কি এ নিয়ে কিছু ভাবছে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর