বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিজেএমসির ম্যানেজারের হাতে রেফারি লাঞ্ছিত

এগিয়ে থেকেও শেখ রাসেলের ড্র

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

এগিয়ে থেকেও শেখ রাসেলের ড্র

ইকাঙ্গার গোলে এগিয়ে গেলেও জয় উৎসব করতে পারেনি শেখ রাসেল —বাংলাদেশ প্রতিদিন

জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এ দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না বিগ বাজেটের টিম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। শক্তিশালী দল গঠন করেও কখনো ভাগ্য সহায়তা না থাকায়, কখনো বা বির্তকিত রেফারিংয়ের শিকার হচ্ছে  দেশসেরা তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া শেখ রাসেল। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টিম বিজিএমসি বিরুদ্ধে ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য ছিল শেখ রাসেলের। গতিময় নান্দনিক ফুটবল খেলে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, শেষ মুহূর্তের বিজেএমসি দেওয়া গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল। এ ম্যাচে বাজে রেফারিং এবং ভাগ্যেও শিকার হয় শেখ রাসেল।

ম্যাচের শুরু থেকে গতিময় ফুটবল খেলতে থাকে শেখ রাসেল। ছদ্মময় ফুটবল খেলে আক্রমণের ফোয়ারা বয়ে দেয় বিজেএমসি রক্ষণভাগে। ছদ্মময় ফুটবলের বিপরীতে অনেক শরীরিক শক্তি প্রদর্শন করে খেলতে থাকে বিজেএমসি। ম্যাচে ৭ মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। ইকাঙ্গার মাটি কামড়ানো শট সাইড বারের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। ১১ মিনিটে শেখ রাসেলের খেলোয়াড়ের বাড়ানো বল হাত লাগে বিজেএমসি’র রক্ষণভাগের খেলোয়াড় খান মো. তারার। কিন্তু রেফারি বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পরের মিনিটে শেখ রাসেলের সংঘবদ্ধ আক্রমণ। কিন্তু এবার সেই আক্রমণ অফ সাইডের পতাকা তুলে নস্যাৎ করে দেয় সহকারী রেফারি। ২১ মিনিটে আরেক দফা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। সতীর্থর ক্রস থেকে ডি বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে গোল করতে পারেননি হাইতির খেলোয়াড় সাবাস্টিয়ান থুরিরে। ৪৪ মিনিটে আবার শেখ রাসেলের সুযোগ। তাদের বঞ্চিত করল ভাগ্য। রাজুর কর্নার থেকে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যায় শেখ রাসেলের একাধিক খেলোয়াড়। বল পেয়ে একাধিক গোলবারে শটও নেন। কিন্তু প্রত্যেকবার বিজেএমসি’র রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের গায়ে লেগে প্রতিহত হয় বল। কিন্তু ভাগ্য অনুকূলে না থাকায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হয়েও এগিয়ে যাওয়া হয়নি। ৫১ আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে শেখ রাসেলের। কিন্তু আবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিজেএমসির গোলরক্ষক হিমেল। শেখ রাসেলের নেওয়া দূরপাল্লার একটি জোরালো শট রুখে দিয়ে শেখ রাসেলকে বঞ্চিত করে হিমেল। ৫৭ মিনিটে ইকাঙ্গাকে ডি বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেও বাঁশি বাজাননি রেফারি ভুবন মোহন। ৭১ মিনিটে শেখ রাসেল সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ইকাঙ্গা। প্রায় মধ্যমাঠ থেকে দূরপাল্লার শট নেন  সাবাস্টিয়ান থুরিরে। কিন্তু তার নেওয়া শট রুখে দিলেও তা চলে আসে ইকাঙ্গার পায়ে। তিনি এবার গোল করতে ভুল করেননি। আলতো পায়ে ঠেলে দর্শকদের  আনন্দে ভাসান। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে শেখ রাসেলে গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের ভুলে সমতায় ফেরে বিজেএমসি। দু জনের ভুলে বিজেএমসির সাহেদ গোল করে সমতায় ফেরায়। পরেক্ষণে ঘটে লিগে লজ্জাকর একটি ঘটনা। একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে চতুর্থ রেফারি নয়নকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বিজেএমসির টিম ম্যানেজার আরিফুল হক চৌধুরী লিওন।  ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘রেফারি একটি নিশ্চিত পেনাল্টি দেয়নি। অনেক সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে। সিদ্ধান্তগুলো নিরপক্ষ হলে জয় আমাদের পক্ষেই আসত। এ ধরনের রেফারিং অবশ্যই দুঃখজনক।’ এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ২-১ গোলে ফেনী সকারকে পরাজিত করে।

সর্বশেষ খবর