শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রংপুর ও রাজশাহীর প্রথম দেখা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রংপুর ও রাজশাহীর প্রথম দেখা

দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। বিপিএলে শীর্ষে থেকে আজ তারা রাজশাহী কিংসের মুখোমুখি হবে। ম্যাচের আগে ঘাম ঝরিয়ে নিচ্ছেন রংপুরের ক্রিকেটাররা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজশাহী কিংসের ক্রিকেটাররা দুপুরে অনুশীলন শেষ করে যখন একাডেমি মাঠ থেকে বের হচ্ছিলেন তখন প্রবেশ করছিলেন রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটাররা। নাঈমরা হাসতে হাসতে টিম বাস থেকে নেমে মাঠে প্রবেশ করেন। আর স্যামির রাজশাহীর ক্রিকেটাদের মুখচ্ছবিতে টেনশনের ছাপ পরিষ্কার ফুটে উঠছিল। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে শীর্ষে রংপুর। সমান ম্যাচে রাজশাহীর জয় মাত্র দুটি। নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে পদ্মাপাড়ের দলটি।

রংপুর যেখানে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন প্লে-অফ। সেখানে রাজশাহীকে পাড়ি দিতে হলে দীর্ঘ পথ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আজ উত্তরবঙ্গের  এই দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে। রংপুর ও রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে ঢাকায় ফিরছে বিপিএল। আজকের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটানস।

এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল রাইডার্স। তারা প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে জয় তুলে নিচ্ছে। একমাত্র ঢাকা ছাড়া আর কারও বিরুদ্ধে হারেনি রংপুর। তবে রাজশাহীর বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে। তাই সতর্ক হয়েই মাঠে নামবে দলটি।

রাজশাহী তো জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। তাদের চারটি হারের মধ্যে অন্তত দুটি ম্যাচ হাতের মুঠোয় থেকে ছিটকে গেছে। শেষ ওভারে ব্যাটসম্যানদের অসচেতনতার কারণে হারতে হয়েছে। তা না হলে পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকেই থাকতো দলটি। তবে এখনো প্লে-অফে খেলার আশা শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু আজকের ম্যাচটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল রংপুরের বিরুদ্ধে বলেই কিছুটা টেনশনে। দলের তারকা ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক মনে করেন এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। ‘আমরা জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। আশা করছি ভালো কিছুই হবে।’

দলকে একের পর এক জয় এনে দেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন রাইডার্স দলপতি নাঈম ইসলাম। তিনি মনে করেন, তাদের দলের সবার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই রাইডার্সকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নাঈমের দাবি, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ। বিদেশিরাও ভালো করছে, স্থানীয় ক্রিকেটাররাও দারুণ খেলছেন। আমাদের দলে দেখেন অধিকাংশ ক্রিকেটারই অভিজ্ঞ। স্থানীয়রা ঘরোয়া লিগে অনেক দিন খেলে এসেছেন।’

পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা টাইটানস। আগের ম্যাচে রংপুরের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও এ ম্যাচে বরিশাল বুলসকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চায় তারা। খুলনায় খুব বড় তারকা না থাকলেও টিম কম্বিনেশনটা অসাধারণ। আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। প্রথম দুই ম্যাচে শেষ ওভারে অসধারণ দুটি জয় এনে দিয়েছেন। অধিনায়কই টাইটানসের বড় ভরসা। তবে খুলনার বোলিং লাইন আপও দুর্দান্ত। পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান অসাধারণ বোলিং করছেন। ক্যারিবীয় ক্যাভন কুপারও দুর্দান্ত। মোশাররফ হোসেন রুবেলও দারুণ বোলিং করছেন। তাই আজকের ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী খুলনা। টাইটানসকে ছেড়ে কথা বলবে না বরিশাল বুলসও। মুশফিকের দল সেরা চার থেকে নেমে গেছে পাঁচ-এ। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ছয়। প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। বুলসের প্রধান ভরসা তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। দারুণ ব্যাটিং করছেন শাহরিয়ার নাফিস। মুশফিক নিজেও দাপুটে ব্যাটিং করছেন। তারপরেও চার ম্যাচে হেরে গিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেছে দলটি। বন্দরনগরীতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। তবে ঢাকা ফিরে আবারও তাদের দল চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন মুশফিকুর রহিম।

সর্বশেষ খবর