শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাজধানীর বাইরে

দিনে গো-চারণ : রাতে মাদক সেবন

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

দিনে গো-চারণ : রাতে মাদক সেবন

বেহাল দশায় সান্তাহার স্টেডিয়াম —বাংলাদেশ প্রতিদিন

তখন হৈচৈ পড়েছিল। এখন নীরব নিথর হয়ে জায়গা দখল করে আছে। ১৯৭৯ সালের স্থাপিত বগুড়ার একমাত্র ফুটবল স্টেডিয়ামটি এখন ক্রীড়ামোদিদের বোঝা হয়ে আছে। ১৯৯৫ সালে সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হলেও তা আর কাজে আসছে না। কাজে আসছে কেবল সমাজ বিরোধীদের। রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার অভাবসহ খেলাধুলার আয়োজন না থাকায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার আধুনিক স্টেডিয়াম এখন অপরিচ্ছন্ন গো-চারণ ভূমি ও যুব সমাজের আড্ডার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দিনের বেলায় এক রকম থাকলেও রাতের বেলা মাদকসেবীরা গোপনে ভিড় করে স্টেডিয়ামটিতে। এদিকে স্টেডিয়ামের দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে প্রায় দেড় যুগ ধরে আদমদীঘি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ও সান্তাহার পৌর ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে রশি টানাটানি চলছে। এই দীর্ঘ সময়ে খেলাধুলাসহ কোনো ভাবে ব্যবহার না করার কারণে স্টেডিয়ামটির এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ এই মাঠে ২০০০ সালে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আর কোনো খেলা হয়নি এই মাঠে। কালের পরিক্রমা, আর কর্তৃত্বের রশি টানাটানিতে এখন যেন শেকল পরা অবস্থায় রয়েছে স্টেডিয়ামটি। দীর্ঘদিন বন্ধ আর অযত্নের কারণে এখন আর ক্রীড়ায় এগিয়ে যেতে পারছে না উপজেলার যুবকরা। স্টেডিয়ামে আবু সাইদ নামের এক কর্মচারী রয়েছে সে প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে কোনো বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে তিনি জানান। বর্তমানে এই আধুনিক স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের ও পরিচর্যার অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ রয়েছে। খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই। দিনের বেলায় গবাদি পশুর বিচরণ ও রাতের আঁধারে মাদক সেবীদের আস্তানা ও অনৈতিক কার্যকলাপ চলে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়। স্থানীয়রা আরও জানান, স্টেডিয়ামে কোনো খেলা না থাকায় এখন নীরব নিথর হয়ে শুধু শুধু জায়গা দখল করে আছে স্টেডিয়ামটি।

বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান- স্টেডিয়ামটি বর্তমানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর