শিরোনাম
শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান মুশফিক

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দেয় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নিজেদের শক্তিরও প্রমাণ দেয়। ইংলিশদের হারানোর পর সাবেক অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম সমালোচনা করার পাশাপাশি একটি চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন টাইগারদের। স্পষ্ট করেই বলেন, দেশের বাইরে ভালো খেলার সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে হবে বাংলাদেশকে। বিষয়টি জানেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বেশ ভালোভাবেই জানেন, দেশের বাইরে ভালো করা এখন দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের। এই প্রমাণের দায়িত্বটা শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই। বাংলাদেশ এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে টেস্ট সিরিজ খেলতে। তবে সফরে দুই টেস্ট ছাড়া তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-২০ খেলবেন মুশফিকরা। দেশটিতে পৌঁছানোর আগে সিডনিতে ৯ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করবে ২২ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড। গতকাল প্রথমভাগে মুশফিকুর রহিমরা ঢাকা ছাড়েন। বিপিএলের ফাইনাল খেলা স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা যাবেন আগামীকাল। টি-২০ ও ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তামিম ইকবালও যাবেন শনিবার।

বাংলাদেশ প্রথম নিউজিল্যান্ড সফর করেছিল ২০০১ সালে। সপ্তমবারের মতো দুই দেশ টেস্ট সিরিজ খেলবে এবার এবং চতুর্থবারের মতো সফর করবে বাংলাদেশ। টাইগাররা অবশ্য সর্বশেষ দেশটিতে সফর করেছিল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। সেবার নেলসন ও হ্যামিল্টনে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন মুশফিকরা। নেলসনে স্কটল্যান্ডের ৩১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল। হ্যামিল্টনে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির পরও হেরেছিল স্বাগতিকদের কাছে। ওই দুটি ম্যাচের পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে মুশফিককে, ‘নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলতে যাওয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম সেখানে। আশা করি সেই ম্যাচ দুটির অভিজ্ঞতা আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তবে আমাদের লক্ষ্য, দেশের বাইরে ভালো খেলে নিজেদের প্রমাণ করা। আমরা সেটা করতে প্রস্তুত।’

সিডনিতে ৯ দিনের অনুশীলনে দুটি প্রস্তুতিমূলক টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একটির প্রতিপক্ষ সিডনি থান্ডার্স এবং অপরটির সিডনি সিক্সার্স। ১৮ ডিসেম্বর মুশফিকরা উড়ে যাবেন নিউজিল্যান্ড। ২৬ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে বক্সিং ডেতে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সফর। ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর পরের দুটি ওয়ানডে নেলসনে। ৩ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডে নেপিয়ারে এবং ৬ ও ৮ জানুয়ারি মাউন্ট মানাগুনাইতে শেষ দুটি টি-২০। ১২-১৬ জানুয়ারি প্রথম টেস্ট ওয়েলিংটনে এবং ২০-২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় টেস্ট ক্রাইস্টচার্চে। সফরটি চ্যালেঞ্জিং হবে মনে করেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন পেসারদের সহায়ক। সেখানে আমাদের পেস বোলাররা সুবিধা পাবেন। কিন্তু কষ্ট হবে ব্যাটসম্যানদের। সেখানে লড়াই করতে হবে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের সুইংয়ের বিপক্ষে। এজন্য ব্যাটম্যানদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে।

 

পারফর্ম করলেই সফর ভালো হবে আমাদের।’     

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ টেস্টে জয় পায়নি একটিও। ৮ হারের বিপক্ষে ড্র তিনটি। ২৫ ওয়ানডেতে সাফল্য রয়েছে। জয় ৮টি এবং হার ১৭টি। টি-২০তে চার ম্যাচের সবগুলোতেই হার। এবারই প্রথম বাংলাদেশ দেশটিতে যাচ্ছে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। যা পূর্বে কখনোই দেখা যায়নি। 

সর্বশেষ খবর