শিরোনাম
শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেখ রাসেলের প্রতিপক্ষ আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেখ রাসেলের প্রতিপক্ষ আবাহনী

প্রথম পর্বের ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। যদিও দলটি শিরোপা রেসে নেই। কিন্তু পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় ফিরে বড় দলগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা পর্বে পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দলটি এগিয়ে যাবে আরও কয়েক ধাপ। গোপালগঞ্জ অধ্যায় শেষ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফিরেছে (বিপিএল) ঢাকায়। আজ শুরু হচ্ছে বিপিএলের ১৯ নম্বর রাউন্ড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শেখ রাসেলের প্রতিপক্ষ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল ঢাকা আবাহনী। উল্লেখ্য, প্রথম পর্বে দুই দলের ম্যাচটি ড্র ছিল ১-১ গোলে।

শিরোপা পুনরুদ্ধারে লি টাক, সানডে চিজোবার ঢাকা আবাহনী যেন মরিয়া। দুর্দান্ত খেলছে দলটি। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না। কিন্তু শেখ রাসেলের বিপক্ষে প্রথম লড়াইয়ে খুব সুবিধা করতে পারেনি কোটানের শিষ্যরা। তারপরও ধানমন্ডি পাড়ার দলটির সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় দল চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট টেবিলের পার্থক্য ৫। ১৮ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৪২ এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর ৩৭। আট নম্বরে থাকা শেখ রাসেলের পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ২০। শফিকুল ইসলাম মানিকের শেখ রাসেল যদি আজ হারিয়ে দেয় আবাহনীকে, তাহলে পয়েন্ট টেবিলের ৭ নম্বরে চলে আসবে। আর আবাহনী জিতলে শিরোপার একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে। হেভিওয়েট লড়াইটা তাই অনেক সমীকরণেরই জন্ম দেবে। প্রথম লেগে জিতেনি দুই দলের কেউ। তাই আজ দ্বিতীয় লেগে কে কাকে ছাড়িয়ে যায়- সেদিকে নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।

শিরোপার লড়াইয়ে যখন ঢাকা আবাহনী এগিয়ে যাচ্ছে তরতরিয়ে, তখন সেরা স্কোরার হওয়ার লড়াইটা সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদেশিদের মাঝে। বিশেষ করে আবাহনীর সানডে চিজোবা এগিয়ে সবার চেয়ে। এর মধ্যেই সানডে গোল করেছেন ১৮টি। ১৪ গোল করে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাদার্সের এনকোচা কিংসলে। বিজেএমসির লিয়াসুর গোল ১২টি। ব্রাদার্সের আরেক বিদেশি ওয়ালসনের গোল ১০টি। এই চার বিদেশিই এখন পর্যন্ত দুই অঙ্কের গোল করেছেন। ৯টি করে গোল করেছেন আবাহনীর ইংলিশ মিডফিল্ডার লি টাকি ও শেখ জামালের হাইতিয়ান স্ট্রাইকার ওয়েডসন। যদিও ওয়েডসন প্রথম পর্ব শেষে ফিরে গেছেন দেশে। দেশের ফুটবলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬টি গোল চট্টগ্রাম আবাহনীর জাহিদের। অথচ জাহিদ একজন উইঙ্গার। জাতীয় দলের কোনো স্ট্রাইকারেরই নেই ৪-৫ গোল।

সর্বশেষ খবর