শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাঠই যার ঠিকানা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাঠই যার ঠিকানা

মাঠের পরিচর্যায় মো. ইয়াহইয়া —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজেকে আড়াল রাখার অভ্যাস যার তাকে নিয়ে মিডিয়ায় লেখালেখি হয়েছে খুব কমই। অথচ মাঠের চিরচেনা মুখ। বলা যায় মাঠই তার ঠিকানা। হ্যাঁ, মো. ইয়াহিয়ার কথা বলছি। সাবেক ক্রীড়াবিদ ও দেশের খ্যাতনামা অ্যাথলেটিক্স কোচ। তারই প্রশিক্ষণে কত যে অ্যাথলেট বের হয়েছে তার হিসাব মেলানো মুশকিল। খেলাধূলা ছেড়ে দিয়েছেন কয়েক যুগ আগে। কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনের মায়া ছাড়তে পারেননি। বর্তমানে ইয়াহিয়া দেশের ১ নম্বর জাতীয় স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রশাসক। ঝড়, বৃষ্টি, ঈদের দীর্ঘ ছুটি বা শারীরিক অসুস্থতা কোনো কিছুই তাকে আটকিয়ে রাখতে পারে না। ছুটে আসেন প্রিয় কর্মক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। কাজের ফাঁকে ঘুরে বেড়ান স্টেডিয়ামে সবুজ চত্বরে। আপন মনে যেভাবে হাঁটেন তাতে মনে হয় মাঠ যেন তার সঙ্গে কথা বলছে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কেন, মাঠ সংস্কারের প্রয়োজন পড়লে ডাক পড়ে ইয়াহিয়ার। ঢাকা ছাড়িয়ে ছুটে বেড়ান জেলায় জেলায়। ক্লাবগুলোও ইয়াহিয়া ছাড়া কাউকে ভাবতে পারেন না। শেখ জামাল ধানমন্ডি মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পেছনেও অবদান রেখেছেন। আন্তর্জাতিক গেমস বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট হলে ইয়াহিয়ার ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। মাঠকে উপযোগী করে তুলতে ইয়াহিয়ার জুরি নেই। মাঠ বিশেষজ্ঞ বলতে যা বোঝায় সব গুণাবলীই রয়েছে তার ভিতর। এই নিয়ে কখনো অহঙ্কার করতে দেখা যায়নি। অতিথিপরায়ণ ব্যক্তি, তার অফিসে গেলে শত ব্যস্ততার মধ্যে আপ্যায়ন না করে ছাড়েন না। ক্রীড়াঙ্গনের অনেক অজানা তথ্য জানা যায় ইয়াহিয়ার কাছ থেকে।

মাঠের সঙ্গে চল্লিশ বছর ধরে যার নিবিড় সম্পর্ক। সেই ইয়াহিয়াকে চলে যেতে হচ্ছে। আগামী ৫ জানুয়ারি তিনি অবসরে যাচ্ছেন। ইয়াহিয়া জানালেন, ‘চাকরিতে থাকব না। কিছুটা মনতো খারাপ লাগবেই। ক্রীড়াঙ্গনের মায়া ছাড়তে তো পারব না। আড্ডা দিতে হলেও ছুটে আসতে হবে স্টেডিয়াম পাড়ায়।’ নিজে অ্যাথলেট ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে আলাপচারিতায় অ্যাথলেটিক্স প্রসঙ্গটা উঠল। দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে ইয়াহিয়া বললেন, ‘সময়টা যাচ্ছে অ্যাথলেটিক্সে। তবে আমি হতাশ নই। দেশে ভালোমানের অ্যাথলেট রয়েছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে ঠিকই তারা দেশের সুনাম কুড়াতে সক্ষম হবে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর