মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

অবসর নিচ্ছেন রজনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবসর নিচ্ছেন রজনী

রজনীকান্ত বর্মণ

আগে চেহারা দেখেই চেনা যেত তারকা ফুটবলারদের। এখন সেই মানের ফুটবলার নেই। জার্সি নম্বর দেখে প্লেয়ার চিনতে হয়। সত্তর বা আশির দশকের কথা বাদই দিলাম। তখন দেশে ঝাঁকে ঝাঁকে তারকা ফুটবলার। রিজার্ভ বেঞ্চে যারা বসে থাকতেন তারাও ছিলেন দেশের পরিচিত মুখ। নব্বই দশকেও অনেকে মাঠ কাঁপিয়েছিলেন। পেয়েছিলেন তারকা খ্যাতি। এর মধ্যে রজনীকান্ত বর্মণের নাম না বললেই নয়। ছিপছিপে শরীর, এরপরও রক্ষণভাগে চীনের প্রাচীরের খ্যাতি পেয়েছিলেন। ফুটবলপ্রেমীরা বলতেন, যে দলে রজনী আছেন গোলরক্ষকের প্রয়োজন নেই। রজনীর নাম আরও স্মরণীয় হয়ে থাকবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। ২০০৩ সালে ঢাকায় তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাফ ফুটবলে শিরোপা জিতেছিল। প্রায় দুই যুগ খেলে অবশেষে ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি টানতে যাচ্ছেন ফুটবলের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।

১৫ ডিসেম্বর জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ঢাকা-মোহামেডানের বিপক্ষে লড়বে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সেই ম্যাচে শেখ রাসেলের পক্ষে মাঠে নামবেন দেশসেরা ডিফেন্ডার রজনী। কিছুক্ষণ খেলার পরই ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি।

১৯৯৪ সালে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেন রজনী। দুই মৌসুম খেলার পর যোগ দেন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানে। সেবারই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় সাদা-কালোরা। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধায়। এখানেও শিরোপার স্বাদ পান। ২০০০-০১ মৌসুমে রজনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০০৪ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এখানেও শিরোপা জয়ীর সঙ্গী হন। ২০০৯ সালে আবাহনীতে থেকে পেশাদার লিগ জেতেন।

মোহামেডানে ফিরে দলকে এনে দেন ফেডারেশন কাপ ও কোটি টাকার সুপার কাপ। শেখ রাসেলে খেললেও শিরোপার সঙ্গী হতে পারেননি। এবার দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল শেখ রাসেল থেকেই ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি টানছেন রজনী।

১৯৯৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাফ গেমসে ফুটবলে সোনা জিতে। পুরো আসরে রজনীর পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০০৩ সালে জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো এনে দেন সাফ শিরোপা। রজনী বলেন, ‘শেখ রাসেলের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে বিদায় জানানোর ব্যবস্থা করেছেন।’ আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বললেন, খেলা ছাড়ছি ঠিকই, কিন্তু ফুটবলের মায়া ছাড়তে পারব না। যত দিন বেঁচে থাকব, এর সঙ্গে যে কোনোভাবে জড়িয়ে থাকব। ফুটবল আমাকে ছাড়তে পারে, কিন্তু আমি ছাড়ব না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর