শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রজনীর বিদায়ী ম্যাচে শেখ রাসেলের জয়

শেখ রাসেল ২ : ০ মোহামেডান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রজনীর বিদায়ী ম্যাচে শেখ রাসেলের জয়

মোহামেডানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ ফুটবল ম্যাচটি খেললেন রজনীকান্ত বর্মণ। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তারা ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায় জানাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রজনীকান্ত বর্মণ; বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম প্রতিভাবান ফুটবলার। তার নেতৃত্বেই ২০০৩ সালের সাফ শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। রজনী খেলা ছেড়ে দিলেও জড়িয়ে আছেন ফুটবলের সঙ্গে। শেখ রাসেলের ট্রেনার হিসেবে কাজ করছেন এবার। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বুট জোড়া তুলে রাখেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের বিপক্ষে ফুটবলকে বিদায় বলেন ৩৭ বছর বয়স্ক রজনী। রজনীকে বিদায়ী ম্যাচে ২-০ গোলের জয় উপহার দিয়েছে শেখ রাসেল। এই জয়ে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা ২৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে উঠে আসে। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনী ৩-২ গোলে শেখ জামালকে হারিয়ে শিরোপার একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে।

গতকাল পৌষের সন্ধ্যায় টানা সাত ম্যাচে অপরাজিত থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামে। এ ছাড়া প্রথম পর্বে সাদা-কালো শিবিরের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ডটাও আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে দলটিকে। সেই আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা নিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে শেখ রাসেল। চতুর্থ মিনিটে শেখ রাসেলকে এগিয়ে নেন শাখাওয়াত হোসেন রনি (১-০)। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয় নিশ্চিত করেন জামাল ভুঁইয়া (২-০)। রজনীকে মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার সুযোগ করে দেয় শেখ রাসেল। জাতীয় দলের হাসান আল মামুন, আমিনুল হকরা মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেননি। মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে আনন্দিত রজনী, ‘২০১৩-১৪ মৌসুমে খেলা ছেড়েছিলাম। তখন ভাবিনি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারব। আমার সৌভাগ্য এতদিন পর মাঠে ফিরে বিদায় নিতে পারলাম। এটা আমার জন্য গর্বের। দেশবাসীসহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে মানিক ভাই (শেখ রাসেল কোচ) ও শেখ রাসেলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’ বুট জোড়া তুলে রাখা রজনী অবশ্য ফুটবলের সঙ্গে থাকতে চান, ‘ফুটবল থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। ফুটবলকে আমি কিছু দিতে চাই। তাই ফুটবলের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাই।’ ১৯৯৬-২০০৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলা রজনীর কষ্ট ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে না পারা, ‘২০০৩ সালের সাফ গেমসের ফাইনালে খেলতে না পারাটা আমার দুর্ভাগ্য। ১৯৯৯ সালের সাফ গেমসের ফাইনালেও খেলতে পারিনি কার্ডের জন্য। ২০০৩ সালে অধিনায়ক ছিলাম, টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলার হয়েছিলাম। ফাইনাল খেলতে না পারলেও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।’ 

সর্বশেষ খবর