রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রিমিয়ার লিগে প্রশ্নবিদ্ধ ম্যাচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রিমিয়ার লিগে প্রশ্নবিদ্ধ ম্যাচ

লিগ কমিটির দাবি আগে যাই হোক না কেন গত ২/৩ বছর ধরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে পাতানো খেলা হচ্ছে না। ফুটবলপ্রেমিরা অবশ্য এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলছেন। তাদের কথা এখনো পাতানো খেলা চলছে। আগে পাতানো খেলা নিয়ে অভিযোগ ছিল লোকাল ফুটবলারদের। তারা আক্ষেপ করে বলতেন, খেলায় হারজিত থাকবেই। কিন্তু কর্মকর্তাদের নির্দেশে পাতানো খেলায় অংশ নিয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার যেমন ধ্বংস করছি। তেমনি দেশের ফুটবলকে সর্বনাশার পথে ঠেলে দিচ্ছি। ফুটবলারদের এই অভিযোগ কখনো ফেলে দেওয়ার মতো নয়। নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু লিগে পাতানো খেলা বরাবরই হয়ে আসছে। কর্মকর্তারা অস্বীকার করলেও খেলার ধরন দেখেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে পাতানো খেলা। বাফুফের কর্মকর্তারা নিশ্চিত এবার লিগে এখন পর্যন্ত কোনো পাতানো খেলা হয়নি। কোনো ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি কেউ। বাস্তবে কি সত্যিই পাতানো খেলা বন্ধ হয়েছে? প্রথম পর্বের ম্যাচ ঘিরে কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ ওঠেনি। অবশ্য দ্বিতীয় পর্বে কিছু ম্যাচকে ঘিরে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। পারিশ্রমিকের ভয়ে লোকাল ফুটবলাররা এখন নীরব থাকলেও মুখ খুলছেন বিদেশি ফুটবলাররা। একটি ম্যাচ ঘিরে দুই বিদেশি আক্ষেপ করে বললেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় খেলছি। একটা মায়া জন্মে গেছে। এখন সামনে ঢাকায় খেলব কিনা এ নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। কারণ নিশ্চিত জেতা ম্যাচে হারতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের নির্দেশে। মাঠে কষ্ট করে খেলব আর প্রতিপক্ষের সুবিধার জন্য শেষ মুহূর্তে ম্যাচ ছেড়ে দিতে হবে এ কেমন খেলা? এতে তো নিজেদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে।’ দ্বিতীয় পর্বে দুটি ক্লাবের পাতানো ম্যাচে অংশ নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে একটি ম্যাচ ঘিরে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বাফুফের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কজন কর্মকর্তাও বলছেন একটা ম্যাচের কথা। পাতানো না হলে ফলাফল কখনো এমন হতো না। পরাজিত দলের দুই বিদেশি তো সরাসরি বলেছেন মাঠে থেকেই কর্মকর্তারা ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেছেন। শুধু তাই নয়, হারের পর ওই ক্লাবে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে গেছে। আবার এমনও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, এই দলের দুই বিদেশি ফুটবলারকে মোটা অঙ্কের অফার দিয়েছিল আরেক দল। বলা হয়েছিল ম্যাচ জিততে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা তোমাদের দেওয়া হবে। এখন জিততে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বিদেশি মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। যেটাই হোক কিছু যে একটা ঘটেছে তা নিশ্চিত। এখন তাই লিগ কমিটির উচিত হবে, নীরব না থেকে তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করা।

সর্বশেষ খবর