শিরোনাম
সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলবে ভলিবলের কার্যক্রম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলবে ভলিবলের কার্যক্রম

আতিকুল ইসলাম

ফুটবল, ক্রিকেট ও হকির পাশাপাশি এক সময়ে ভলিবলের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলো অংশ নেওয়ায় ভলিবল লিগে উপচে পড়া দর্শকের সমাগম হতো। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও ছিল একই অবস্থা। কালের বিবর্তনে ভলিবলের জনপ্রিয়তার বেশ ভাটা পড়েছে। অবশ্য বর্তমানে ক্রিকেট ছাড়া কোনো খেলাতেই তেমনভাবে সাড়া পড়ছে না। আশার কথা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ভলিবলে কিছুটা হলেও প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। তবে এতে সন্তুষ্ট নন আতিকুল। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন ‘পরিকল্পনা করে ভলিবলকে এগিয়ে নিতে চাই। পরিকল্পনাহীন চললে কোনো কিছুতেই এগুনো সম্ভব নয়।

মূলত আতিকুলের প্রচেষ্টায় ২২ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের সাত দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু এশিয়ান পুরুষ সিনিয়র সেন্টাল জোন আন্তর্জাতিক ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। সাত দিন ধরে চলবে এই আসর। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ অংশ নেবে আফগানিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, ভুটান ও তাজিকিস্তান। আর্জেন্টিনায় নিজে গিয়ে আন্তর্জাতিক ভবিলবল ফেডারেশনের কাছ থেকে এই টুর্নামেন্টের অনুমতি নিয়ে এসেছেন আতিকুল ইসলাম।

এত অধিক সংখ্যক দেশের অংশগ্রহণে আগে আন্তর্জাতিক ভলিবল অনুষ্ঠিত হয়নি। আতিকুলের সাংগঠনিক ক্যারিশমায় তা সম্ভব হয়েছে। টুর্নামেন্ট দেখতে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ইমন হামজা। তিনি স্বচক্ষে দেখবেন বাংলাদেশেও ভলিবলের বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খুব বেশি অংশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ভলিবলের পারফরম্যান্স তেমন সুখকর নয়। প্রশ্ন উঠেছে নিজ দেশে বাংলাদেশ কী করবে?

আতিকুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ভলিবল টুর্নামেন্টে টার্গেট আমাদের দুটো। আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করা। আর ফলাফল যেন সন্তোষজনক হয়। তাহলে কি আপনি চ্যাম্পিয়নের কথা বলছেন? আতিকুল বললেন চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি না জানি না। তবে যেসব দেশ খেলতে আসছে আমাদের সঙ্গে তাদের শক্তির পার্থক্য আকাশ-পাতাল নয়। এই আসরে সেরা হলে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেবে। তারা মান উন্নয়নে নিশ্চয় নতুনভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। এতে করে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগও সৃষ্টি হবে। ভালো করার লক্ষ্যে ইরান থেকে কোচ আনা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি খেলোয়াড়রা হতাশ করবে না।’ ভবিষ্যতে দেশে আরও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করার ইচ্ছা আছে কি না? আতিকুল বললেন, ‘অবশ্যই। তবে ভলিবলের উন্নয়ন ঘটাতে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। আমরা চাচ্ছি প্রতি বছর ক্যালেন্ডার তৈরি করে ভলিবলের কার্যক্রম চালাতে। পুরুষ বা মহিলা বলেন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে স্কুল ভলিবলকে। তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় বের হলে শক্তিশালী জাতীয় দল গড়া সম্ভব। বঙ্গবন্ধু কাপের পর আমাদের নজর দিতে হবে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের দিকে। ফেব্রুয়ারিতে তারা মিয়ানমারে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।

আতিকুল জানালেন, ‘আগে যাই হোক না কেন এখন থেকে আমরা ঘরোয়া আসরের প্রতি নজর দেব। বিশেষ করে সিনিয়র ডিভিশন লিগে নতুনত্ব আনতে চাই। আমি চাই ভলিবল লিগে দেশের জনপ্রিয় ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করুক। এ ব্যাপারে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ছাড়াও বেশ কিছু ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তারা পুরোপুরি সহযোগিতার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ফান্ড। এক্ষেত্রে আমি মনে করি ট্যাক্স ফ্রি করে দিলে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান করপোরেট হাউস সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবে। মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কথা দিয়েছেন তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন।

সর্বশেষ খবর