সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা

আফিফ হোসেন

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে খেলতে জিতলেই হতো বাংলাদেশের। সরাসরি সেমিফাইনাল। পাকিস্তানের কাছে হারলেও সমস্যা হতো না, যদি ব্যবধান কম হয়! গতকাল গলে ৫ বল আগে ১ উইকেটে হারলেও সেরা চারে খেলা আটকাতে পারেনি আফিফ হোসেন, সাইফ হাসানদের। তবে গত দুই আসরের রানার্স আপ পাকিস্তানকে হারিয়ে গ্রুপে রানরেটের সমীকরণের জটিলতার সৃষ্টি করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে এবং ৪৫ ওভার হাতে রেখে সিঙ্গাপুরকে হারানোয় সেরা চারের পথে পা দিয়েই রেখেছিল বাংলাদেশের যুবারা। গতকাল পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও নেট রান রেটে জায়গা করে নেয় সেরা চারে। গ্রুপ শীর্ষ হয়ে সেমিফাইনাল খেলবেন আফিফরা। গ্রুপের অন্য ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে মাত্র ৪.১ ওভারে হারিয়ে জায়গা করে নেয় রান রেটে। ফলে জিতেও সেরা চারে খেলা হচ্ছে না পাকিস্তানের। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গতকাল গলেতে আগে ব্যাট করে যুবারা। পাকিস্তানি যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৯.৫ ওভারে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন সহ অধিনায়ক আফিফ হোসেন। ৩১ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর অধিনায়ক সাইফ হাসানের সঙ্গে জুটি বাধেন আফিফ। সাইফ ৩২ রানে ফিরলেও আফিফ উইকেটের একপ্রান্ত আগলে সাজঘরে ফিরেন ৪২.৫ ওভারে। এর আগে নামের পাশে লিখে নেন ৮০ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস খেলে। ৯৪ বলের ইনিংসটিতে ৮টি চার ছাড়াও ছিল ২টি ছক্কা। বিপিএলে রাজশাহী কিংসের পক্ষে প্রথম ম্যাচে ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আলোচনায় আসেন আফিফ। যুব দলের অন্যতম ভরসা আফিফ যুব এশিয়া কাপেও ভালো খেলেন। গতকাল প্রত্যয়ী ব্যাটিং ছাড়াও ভালো বোলিং করেন যুব দলের সহ অধিনায়ক। ১০ ওভারের স্পেলে ৩৭ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ রাকিব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ৫৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। সাইফ, আফিফ ও রাকিবের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩০। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন, উমের খান ও নাসির নাওয়াজ। ২৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার জাহিদ আলম ও মহসিন খান ১৩.৩ ওভারে ৮৬ রানের শক্ত ভিত দেন দলকে। জাহিদ সাজঘরে ফিরেন আফিফের সরাসরি থ্রোতে। তার আগে ৩২ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৫০ রানের ড্যাসিং ইনিংস। এরপর মহসিন খান (২৯), আব্দুল্লাহ শফিক (৩০), অধিনায়ক নাসির নাওয়াজ (৪৫) ও জারিওব আসিফের (৩৩) দৃঢ়তায় এক সময় মনে হয়েছিল খুব সহজেই জিতে যাবে পাকিস্তান। কিন্তু হঠাৎ করেই ৪২ ওভারে ওয়াকার আহমেদের বিদায়ের পর ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। ২০১ থেকে ২১৬; ১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট তুলে ম্যাচ জমিয়ে তুলে সাইফবাহিনী। কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে সাদ খান ও মোহাম্মদ হাসনাইন অবিচ্ছিন্ন থেকে ১৭ রান যোগ করে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নেন। শেষ ওভারে ২ রান দরকার ছিল। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯। ফলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ যুবাদের। ২টি করে উইকেট নেন আফিফ ও শাখাওয়াত। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে যুবারা ৪ উইকেট হারিয়েছিল আফগানিস্তানকে। পরের ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে মাত্র ৫ ওভারে হারায়। শেষ ম্যাচে ১ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে। আফগানিস্তান ২১ রানে পাকিস্তানকে এবং ৯ উইকেটে সিঙ্গাপুরকে এবং পাকিস্তান ৯ উইকেটে সিঙ্গাপুর ও ১ উইকেটে বাংলাদেশকে হারায়।

সর্বশেষ খবর