বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের বিদায়

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে একদিন আগেই ২৯৪ রান করেছিল ভারতীয় যুবারা। একই মাঠে গতকাল লঙ্কানদের বিরুদ্ধে মাত্র ১৯৪ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। লঙ্কানদের স্পিনেই দিশাহারা হয়ে গেলেন সাইফরা।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই বামহাতি স্পিনার প্রভিন জয়াউইক্রামা ও হারিম ওয়ারেসিংহে। অন্য বোলাররাও দারুণ বোলিং করেছেন। প্রভিন ১০ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট, হারিম ২৯ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট।

পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ৯ বল আগেই অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন রায়ান রাফসান। ৩৬ রান করেছেন আফিফ হোসেন। পরে শ্রীলঙ্কা ২৭.১ ওভারে ২ উইকেটে ১০৬ রান তুললে বৃষ্টি শুরু হয়। খেলা শেষ না হওয়ায় বৃষ্টির আইন অর্থাৎ ডার্কর্ লুইস পদ্ধতিতে ২৬ রানে শ্রীলঙ্কাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। এক সময় দুই উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৯০ রান। সেখান থেকে ১৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইনিংস। যুব টাইগারদের শেষ চার উইকেট পড়েছে মাত্র ১৫ রানে। স্বাগতিক স্পিনারদের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছিলেন না বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। উইকেটের অবস্থা দেখে গতকাল টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। ওপেনিংয়ে নেমে ক্যাপ্টেন দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু ২৬ বলে ২৬ রান করার পর দানিয়েলের এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে আউট হয়ে যান তিনি। দলীয় ৪২ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিও আর বড় হয়নি। দলীয় ৫৬ রানে আরেক ওপেনার সজীব হোসেনও সাজঘরের পথ ধরেন। এরপর আফিফ হোসেন শক্তভাবেই দলের হাল ধরেছিলেন। হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় থেকে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান। পঞ্চম উইকেটে রাফসানের সঙ্গে ৪৮ রানের আরেকটি জুটি গড়েন আফিফ। কিন্তু এই জুটির পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা যেন যাওয়া আসার মিছিলে নেমে পড়েন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৪৮.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। লঙ্কান স্পিনারের বিরুদ্ধে ঠিক মতো খেলতেই পারেননি ব্যাটসম্যানরা।

সর্বশেষ খবর