সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এভাবেই চলবে অ্যাথলেটিকস?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দ্রুততম মানবের রেকর্ডটি ধরে রেখেছেন নৌবাহিনীর মেসবাহ্ আহমেদ। এনিয়ে টানা পাঁচবার ১০০ মিটার স্ক্রিন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। তবে আগের চার আসরে সহজভাবে উতরে গেলেও এবার ঘাম ঝরাতে হয়েছে। নিজ দলের রউফের সঙ্গে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সোনা জিতেছেন মেজবাহ্। কেউ কেউ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, অ্যাথলেটিকসে প্রাণ ফিরে এসেছে। এতে মেজবাহ্ও খুশি। তিনি বলেছেন, এতে প্রমাণ মিলে অন্যরাও এগিয়ে আসছেন। কিন্তু তিন দিনব্যাপী জাতীয় অ্যাথলেটিকসের চেহারায় কি কোনো নতুনত্ব বা চমক বলতে কিছু ঘটেছে?

অ্যাথলেটিকস যারা বোঝেন বা খোঁজ-খবর রাখেন তারা কিন্তু বলছেন জাতীয় আসর একঘেঁয়েমিতে পরিণত হয়েছে। আগে জাতীয় অ্যাথলেটিকস মানেই ছিল রেকর্ডের ছড়াছড়ি। অথচ রেকর্ড যেন এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিস্ময় হলেও সত্যি যে তিন আসরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ডের দেখা মিলছে না। ২০১৩ সালে জাকিয়া সুলতানা ২০০ মিটারে সোনা জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন। ব্যস এটাই শেষ। টানা তিন আসরে রেকর্ডহীন অবস্থায় প্রতিযোগিতা শেষ একি ভাবা যায়। প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশে এখনো হ্যান্ড টাইমিংয়ে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়। সেখানে যদি রেকর্ড না হয় তাহলে অ্যাথলেটিকসের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। লক্ষ্য করা যাচ্ছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ সার্ভিসেস দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জেলা বা অন্য ক্লাবের অংশ নেই বললেই চলে। তাহলে কি অ্যাথলেটিকসের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। জেলা ছাড়া তৃণমূল পর্যায় থেকে অ্যাথলেট উঠে আসা সম্ভব নয়।

দেশে যদি নতুন অ্যাথলেট না মিলে এই খেলা এগোবে কীভাবে?

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর