বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে কি

দুই মন্ত্রীর তিন বছর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে কি

১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গঠন হয়। তবে এখন পর্যন্ত ফুল মন্ত্রী হিসেবে কেউ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাননি। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ক্রীড়াঙ্গন পরিচালনা হচ্ছে। বর্তমান সরকার অবশ্য এই মন্ত্রণালয়ের নতুনত্ব আনে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী করা হয় মাগুরা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারকে। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উপমন্ত্রী করা হয় নেত্রকোনা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আরিফ খান জয়কে। ক্রীড়াঙ্গনের গতি আনতে সরকার এই উদ্যোগ নেয়। তাছাড়া জয় ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখ। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। ক্রীড়ামোদীদের আশা ছিল প্রতি ও উপমন্ত্রীর পরিশ্রমে ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণের সঞ্চার হবে।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ তিন বছর হয়ে গেল। দুই মন্ত্রী মিলে কী ক্রীড়াঙ্গনের গতি বা নতুনত্ব আনতে পেরেছেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর বীরেন ও জয় খেলাধূলার উন্নয়নে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখনো দিচ্ছেন। নতুনত্ব আনতে নানা কর্মসূচি ঘোষণাও দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়েছে কতটুকু। নতুনত্বের একটাও উদাহরণ কি দিতে পারবেন প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। বীরেন না হয় ক্রীড়াঙ্গনের বাইরের লোক। কিন্তু জয়ের মতো খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদকে উপমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়ার পর কোনো লাভ হয়েছে কি ক্রীড়াঙ্গনে। সবইতো তার জানা ছিল। সমস্যাগুলো তিনিই চিহ্নিত করতে পারতেন। ক্রিকেট ছাড়া বড় কোনো সাফল্য আসেনি। ফুটবলে মেয়েদের সাফল্য ও এস এ গেমসে তিন সোনা জয় এসব কি বড় সাফল্যের মধ্যে পড়ে? যাক সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে দুই মন্ত্রীকে কিছু বলাটা ঠিক হবে না। কিন্তু ক্রীড়াবিদরা যেখানে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে হাহাকার করছে সেখানে তারা নীরব কেন? সরকারতো ক্রীড়া উন্নয়নে কম ফান্ড দিচ্ছে না। তারপরও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অভিযোগ উঠবে কেন? ফেডারেশন বা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সঠিক খাতে অর্থ ব্যয় করছে কিনা সেই খোঁজ-খবর তারা কি রাখছেন।

ফেডারেশনগুলোর দ্বন্দ্ব চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে মোহামেডান, মেরিনার্সসহ পাঁচ দল ফেডারেশনের কর্মসূচি বর্জন করাতে হকিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়। প্রতিমন্ত্রী একাধিকবার উভয়পক্ষে সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সমস্যা নিরসনে দায়িত্ব নিয়েছিলেন উপমন্ত্রী জয়। সমস্যা শেষ পর্যন্ত দূর হয়েছে, তবে জয়ের হস্তক্ষেপে নয় বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উদ্যোগে সংকটাপন্ন অবস্থা কেটে যায়।

ভারোত্তোলন, কাবাডি ছাড়া অন্য ফেডারেশনও সমস্যায় বন্দি। দুই মন্ত্রী কী কোনো অবদান রাখতে পারছেন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যোগ্যদের বদলে এখানে নাকি অযোগ্যদের ও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ বিশাল অর্থের ফান্ড ওঠার পরও নেপালকে এখনো চ্যাম্পিয়নশিপ মানি দেওয়া হয়নি। জাতির  জনকের নামে টুর্নামেন্ট। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ার পরও প্রতি বা উপমন্ত্রী নীরব কেন? তাদের কাজ কি শুধু ফিতা কাটা বা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়া।

সর্বশেষ খবর