বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার

৩৪ বছরেও সেরা কার্লি লয়েড

রাশেদুর রহমান

৩৪ বছরেও সেরা কার্লি লয়েড

ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক কার্লি লয়েড —এএফপি

কার্লি লয়েড ৩৪ বছরের মার্কিন ফুটবল তারকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্য তাকে কেউ ফুটবল তারকা বলে ডাকে না। সেখানে লয়েডের পরিচয় সকার তারকা হিসেবে। অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। তবে ফুটবলে তার পারফরম্যান্সের ধার কমছে না একটুও। বরং দিনে দিনে বেড়েই চলেছে! মেয়েদের ফুটবলে এক জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন এ মার্কিন তারকা। এখনো নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্র মহিলা দলকে। আর ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করলেন, বয়স যাই হোক মেয়েদের ফুটবলে এখনো তিনিই সেরা।

গত বছর কার্লি লয়েড ফিফার বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর যুক্তিসঙ্গত কারণও ছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল ট্রফিটাও নিজের করে নিয়েছিলেন অসাধারণ পারফর্ম করে। এরই ফলে জিতেছিলেন ফিফা বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলারের পুরস্কারটাও। তবে এ বছর ফিফার বর্ষসেরা হওয়াটা কার্লি লয়েডের জন্য একটু ব্যতিক্রমই ছিল। প্রতিপক্ষ ছিলেন অলিম্পিক সোনাজয়ী জার্মান তারকা মেলানি বেহরিঞ্জার আর ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্তা। লয়েডের দাবিটা তাদের তুলনায় কমই ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছর বলতে গেলে তেমন কিছুই জিততে পারেনি মেয়েদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে।

অলিম্পিকেও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেই বিদায় নিয়েছিল তারা। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কার্লি লয়েড। ভোটারদের দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি এককভাবে। ২০১৬ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে মোট ১৫টা গোল করেছেন তিনি। এর মধ্যে আছে দুইটা দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকও। সবমিলিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে ২৩২ ম্যাচ খেলে ৯৬টি গোল করেছেন কার্লি লয়েড। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সই ভোটারদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। ২০.৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন কার্লি লয়েড। ব্রাজিলের মার্তা পেয়েছেন ১৬.৬ শতাংশ ভোট। জার্মানির মেলানিকে বেছে নিয়েছেন ১২.৩৪ শতাংশ ভোটার।

ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়ে অবাক কার্লি লয়েড। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলছি, আমি এটা একেবারেই আশা করিনি। আমি জানি অলিম্পিকে মেলানি অনেক ভালো করেছে। সে এবং মার্তা দুজনেই এই পুরস্কারের জন্য আমার চেয়ে যোগ্য।’ অবশ্য পাশাপাশি কার্লি লয়েড ভোটারদের ধন্যবাদও দিয়েছেন তাকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য। জানিয়েছেন, এই পুরস্কার জিতে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন, ভবিষ্যতে আরও দুরন্ত ফুটবল উপহার দিবেন তিনি। ট্রফি হাতে নিয়েই কার্লি লয়েড বলেছেন, ‘এটা আমাকে থামিয়ে দিবে না। ২০১৬ সালের চেয়েও ২০১৭ সালটা আমি ভালো করতে চাই।’ অন্যদিকে সেরা নির্বাচিত না হয়ে হতাশ হয়েছেন জার্মানির মেলানি। ব্রাজিলের মার্তা এর আগে টানা পাঁচবার ফিফার বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন (২০০৬-১০)। তার আক্ষেপ না থাকাটাই স্বাভাবিক। মেলানির জন্য এটাই ছিল প্রথম ও শেষ সুযোগ। এরই মধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর