শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

তামিমের ব্যাটিংয়ে ড্রেসিংরুমে স্বস্তি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তামিমের ব্যাটিংয়ে ড্রেসিংরুমে স্বস্তি

তামিম ইকবাল গতকাল শুরু থেকেই কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। রানের খাতা খোলেন টেস্টের এক নম্বর বোলার ট্রেন্ট বোল্টকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। কিউই বোলারের দ্বিতীয় ওভারে পর পর দুই বলে হাঁকান দুই বাউন্ডারি। তামিমের যত রাগ যেন বোল্টের ওপর। ইমরুল কায়েসের আউট হওয়ার পরও গতি কমেনি। বোল্টের করা তার তৃতীয় ওভারেও হাঁকিয়েছেন আরও দুই বাউন্ডারি। ৫ ওভারে দলের রান যেখানে ২৬ সেখানে তামিমের ব্যাট থেকেই এসেছিল ২৫। বাধ্য হয়েই নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বোলিংয়ে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন। কিন্তু বোল্টের জায়গা গ্রান্দোমকে নিয়ে এসেও নিস্তার নেই। ড্যাসিং ওপেনার তার স্বভাবসুলভ আক্রমণ করে ব্যাট চালাতে থাকেন। ৪৮ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। দলীয় রান যখন ৫৬ তখন তামিমের রান ৫২।

তামিম যখন ব্যাট করতে ছিলেন, তখন ড্রেসিং রুমের অন্য ব্যাটসম্যানরাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। এর আগে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। সেখানে তামিমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখে ড্রেসিং রুমে স্বস্তির হাওয়া বয়ে যায়। ম্যাচ শেষে তামিম বলেন, ‘আমি অন্যদের আত্মবিশ্বাসী করতে পেরেছি। তার মানে এই নয়, যে তারা রিল্যাক্স হয়েছেন। তবে মাঠে বল গড়ানোর আগে থেকে এক প্রশ্ন ছিল, উইকেট নিয়ে। তবে আমার ব্যাটিং এবং মুমিনুলের ব্যাটিং দেখে তারা একটা বিষয়ে পরিষ্কার হয়েছেন যে উইকেটে রান করা এবং টিকে থাকা অসম্ভব নয়।’ শুরু থেকেই কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার পরিকল্পনা নাকি আগে থেকে তামিমের মাথায় ছিল না। ড্যাসিং ওপেনার বলেন, ‘প্রথমে আমি উইকেটে সেট হতে চেয়েছি। তারপর চিন্তা ছিল বাজে বল পেলেই মারবো। তবে আমি ভালো বলেও বাউন্ডারি হাঁকিয়েছি। আর বাউন্ডারি মারার সঙ্গে সঙ্গে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। আমার চিন্তা ছিল কোনো সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগাবো। প্রতিটি বল মারতে হবে এমন নয়।’ নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার নেইল ওয়াগনার বলেন, ‘আজকের (গতকাল) দিনটি ছিল বাংলাদেশের। আমরা ভালো বল করতে পারিনি। সে কারণেই তাদের জুটি বড় হয়েছে। তামিম অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। বাজে বল পেলেই তা সঙ্গে সঙ্গে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, প্রথম দিনে আমরা অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গেছি।’

সর্বশেষ খবর