শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিন ডাবল সেঞ্চুরিয়ান

তিন ডাবল সেঞ্চুরিয়ান

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে টাইগাররা ব্যর্থ হওয়ার পর টেস্ট সিরিজ আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছিল। তবে সাকিবরা দারুণ খেললেন। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তিনি খেলেন ২৭৬ বলে ২১৭ রানের ইনিংস, এতে ৩১টি চার রয়েছে। কোনো ছক্কা না হাঁকালেও সাকিবের ইনিংসটি দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে বেশ ভালোই। এই ডাবল সেঞ্চুরির মধ্য দিয়েই সাকিব তিন হাজার রানের (৩১৪৬) মাইলফলক স্পর্শ করেন। এর আগে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে তিন হাজার রান করেন হাবিবুল বাশার (৩০২৬) এবং তামিম ইকবাল (৩৪০৫)। সাকিব এ মাইলফলক স্পর্শ করার জন্য ৪ সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।

 

 

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৩২ রান করেছিল। জবাবে পাকিস্তান করে ৬২৮ রান। বাংলাদেশের সামনে তখন রানের বিশাল পাহাড়। ম্যাচ বাঁচাতে হলে তামিমদের প্রয়োজন দারুণ একটা ইনিংস। ঠিক সেই কাজটাই করলেন তামিম। ২৭৮ বলে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেন ৪৪৮ মিনিট উইকেটে থেকে। ৭ ছক্কা ছাড়াও ইনিংসে ছিল ১৭টি চারের মার। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তামিম। তিনি অবশ্য পরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন টেস্ট ক্রিকেটে। তিনি ৮টি সেঞ্চুরি ছাড়াও টেস্টে ১৯টি হাফ সেঞ্চুরি করেন।

 

 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৩ সালে গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে রানের নিচে চাপা পড়েছিল বাংলাদেশ। সাঙ্গাকারা, থিরিমানে ও চান্ডিমালের তিন সেঞ্চুরিতে ৫৭০ রান সংগ্রহ করেছিল লঙ্কানরা। জবাব দিতে নেমে বিশ্বকে চমকে দেয় টাইগাররা। পাল্টা তিন সেঞ্চুরি করেন আশরাফুল, মুশফিক ও নাসির। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম (২০০)। ৩২১ বল খেলে ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। মুশফিকদের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রান সংগ্রহ করে (৬৩৮)। গল টেস্টটা ড্রতেই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তবে মুশফিকদের ব্যাটিং বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম স্থান দখল করে আছে আজও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর