সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোচ অলিভার কার্টেজকে ঘিরে রহস্য

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোচ অলিভার কার্টেজকে ঘিরে রহস্য

মার্চে ঢাকায় ওয়ার্ল্ড হকি লিগের বাছাই পর্ব। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ। দুই টুর্নামেন্টে প্রস্তুতি জরুরি, প্রাথমিক ক্যাম্প শুরু করেছে। সাভার বিকেএসপিতে চলছে প্রশিক্ষণ। অথচ ক্যাম্পে মূল কোচ নেই। জার্মানির অলিভার কার্টেজ এইচএএফ কাপে প্রশিক্ষক ছিলেন। বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। ফেডারেশন কার্টেজকে দুই টুর্নামেন্টে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব দিতে চায়। অলিভার কার্টেজ ঢাকাতেও এসেছেন। অথচ আপৎকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করছেন মাহবুব হারুন। ঢাকা এসেও কার্টেজ বিকেএসপি যাননি কেন? প্রশ্ন উঠতে পারে কেন? জাতীয় দলের কোচ হবেন সেখানে তো ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কার্টেজের বেলায় অন্যরকম ঘটনা ঘটেছে। এইচএএফ কাপে কোচের দায়িত্ব পালন করলেও কার্টেজের চুক্তি হয় ফেডারেশন সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আল মুনীরের সঙ্গে। জানা যায়, কোচের অর্থ নাকি মুনীর নিজে দিয়েছেন। কোনো কর্মকর্তা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতেই পারেন। অন্য ফেডারেশনেরও এমন উদাহরণ দেওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে জাতীয় দলের কোচ ফেডারেশনের চুক্তিবদ্ধ হবে না তাতো ভাবাও যায় না। কোনো ব্যক্তির সঙ্গে জাতীয় কোচের চুক্তি তাকি ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের মধ্যে পড়ে? সবচেয়ে বড় কথা কার্টেজ যে ঢাকায় এসেছেন তা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদককেই জানাননি। কী কারণে তিনি এমন আচরণ করছেন তা রহস্যময়।

গতকালও হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ‘ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি ছাড়া কোনোভাবেই কার্টেজকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, জার্মানের কোচ তার কি নিয়ম-কানুন জানা নেই-জাতীয় দলের কোচ হতে হলে কি করতে হবে। ঢাকায় এসে নীরবভাবে বসে থাকবে কেন? তিনি শর্ত দিয়েছেন, নিজে পছন্দ করে খেলোয়াড় ডাকবেন। যেখানে খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য সিলেকশন কমিটি আছে সেখানে কোচ এই দায়িত্ব পালন করবেন। তার কাজ তো ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাচাই করে চূড়ান্ত দল গঠন করা। সাদেক বলেন, নিঃসন্দেহে অলিভার কার্টেজ ভালোমানের কোচ। তার চুক্তির ড্রাফটও তৈরি করে রেখেছি। ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি, কার্টেজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। তা না হলে ফেডারেশনের কিছুই করার থাকবে না।’

সর্বশেষ খবর