শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন অধিনায়কের নতুন পরিকল্পনা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন অধিনায়কের নতুন পরিকল্পনা

তামিম ইকবাল

ওয়েলিংটন টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সেটা অফিশিয়ালি ছিল না। ব্যাটিংয়ের সময় হাতে ব্যথা পাওয়ায় মাঠে নামেননি মুশফিকুর রহিম। তখনই সহ অধিনায়ক তামিম ইকবাল নেতৃত্ব দেন দলকে। ক্রাইস্টচার্চে আজ ভোরে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে তামিমের। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে যখন টস করতে নামবেন তামিম, তখন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের টেস্ট অধিনায়কদের খাতায় চিরস্থায়ী হয়ে যাবেন। ২০০০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর তামিম হবেন বাংলাদেশের নবম অধিনায়ক। এর আগে দেশকে নেতৃত্ব দেন নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। অধিনায়কত্বের অভিষেকে নিজের চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজেই দল পরিচালনার পরিকল্পনা এঁকেছেন তামিম।

২০১৪ সালে ডিসেম্বরে দুই অধিনায়কের পথে হাঁটার পর থেকেই মুশফিকের সহযোদ্ধা হিসেবে হাঁটছেন তামিম। এবার হঠাৎ নেতৃত্বের ভারটা পেলেও একেবারে অপরিপক্ব, সেটা কিন্তু নন। ক্লাব ক্রিকেট ও বিপিএলে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সেখানে সবসময়ই চেয়েছেন আক্রমণাত্মক মেজাজে দল পরিচালনা করতে। দায়িত্ব হঠাৎ পেলেও ক্রাইস্টচার্চেও আক্রমণাত্মক মানসিকতা ধরে রাখতে চান তামিম, ‘আমি যে ধারায় ক্রিকেট খেলি। সেই মানসিকতায় দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই। আমি আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করি, নেতৃত্বেও আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে চাই।’

টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০-তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার তামিম। শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে পছন্দ করেন। তবে টাইগারদের নেতৃত্ব যখন পেয়েছেন, তখন দল ইনজুরিগ্রস্ত। নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিক নেই। নেই ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। এছাড়া স্ট্রাইক বোলার মুস্তাফিজুর রহমানও নেই। যদিও তাকে স্কোয়াডে ঠিক রাখতে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু মাঠে নামার কোনো সম্ভাবনা নেই মুস্তাফিজের! বৈরী সময়ে দলের দায়িত্ব পেলেও চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন তামিম, ‘বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সব সময়ই আনন্দের। এটি অবশ্যই সুযোগ। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে সবসময় পছন্দ করি। আমার পরিকল্পনাগুলো যখন কাজে লাগবে, তখন আমার কাছে মুহূর্তগুলোকে দারুণ মনে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব না দিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করেছি। সেই অভিজ্ঞতাগুলোকেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করব।’ ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হঠাৎ করেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। ক্যারিবীয় সফরের প্রথম টেস্টেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন মাশরাফি। ওই সফরেই সাকিবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব।

সর্বশেষ খবর