বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অভিজ্ঞতা অর্জনই মূল লক্ষ্য

সাবিনারা এখন জাপানে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অভিজ্ঞতা অর্জনই মূল লক্ষ্য

জাপান যাওয়ার আগে বাফুফে ভবনে মহিলা ফুটবল দল

পুরুষ নয়, ফুটবলে এখন বাংলাদেশের মেয়েদের জয়-জয়কার। ২০১৫ সালে নেপালের মাটিতে নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের ১৪ বছরের কিশোরীরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গত বছর আরও বড় সাফল্য আসে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি বাছাইপর্বে মার্জিয়ারা প্রতিপক্ষদের গোলের বন্যায় ভাসিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ জয়ে চূড়ান্তপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরই  এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ লড়বে।

শুধু কী তাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অসাধারণ নৈপূণ্য প্রদর্শন করেছেন সাবিনা-স্বপ্নারা। মামুনুলদের যেখানে সেমিফাইনাল খেলাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। সেখানে মেয়েদের চোখ জুড়ানো পারফরম্যান্স। যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতবে কীনা সংশয় ছিল। সেখানে কিনা গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই বিধ্বস্ত করেছে। সাবিনার পাঁচসহ ৬ গোলে আফগানদের হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে। পরে শক্ত প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয়। মামুনুলরা এখন মালদ্বীপের কাছে নাকানি-চোবানি খাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বড় ব্যবধানে হার মানে তারা। অথচ সেমিফাইনালে মালদ্বীপকে দাঁড়াতেই দেয়নি মেয়েরা। স্বপ্নার হ্যাটট্রিকসহ ৬ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে চলে যায়। ফাইনালে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে সমান তালে লড়েও হেরে যান সাবিনারা। তবে ভারতের এই জয়ের পেছনে সেদিন বড় ভূমিকা রাখেন ভুটানি রেফারি। ১-১ গোলে ড্র থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি দেন রেফারি। বৈধ ট্রাকেল সত্ত্বেও ডি-বক্সের মধ্যে রেফারি ফাউল দেন। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ভারত। এরপর আর মনোবল ধরে রাখতে পারেননি সাবিনারা। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে জিতে শিরোপা ধরে রাখে ভারত। চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েদের নৈপুণ্য প্রশংসিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। মেয়েরা যে ফুটবলে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ মিলছে ভালোভাবেই। এরপরও সাবিনারা এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে খেলতে পারছে না। বাফুফে এন্টি জমা না দেওয়ায় এত বড় টুর্নামেন্টে নেই স্বপ্নারা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষরা দারুণ শক্তিশালী। ‘আমি ইচ্ছা করেই বাঘের মুখে ছেড়ে দিতে পারি না।’ মানলাম মহিলা এশিয়া কাপে বাছাইপর্বে শক্তিশালী দলই অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ হারত, কিন্তু অভিজ্ঞতা ও সাহসতো সঞ্চয় করতে পারত। যা পরবর্তীতে কাজে লাগানো যেত। যাক বাছাইপর্বে খেলতে না পারলেও অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা দল মহিলা ফুটবলে বিশ্বে শক্তিশালী দেশ জাপানে যাওয়ার সুযোগ ঘটেছে। ২০ দলের ব্যতিক্রমী ফুটবল উৎসবে অংশ নিতে কিশোরীরা এখন জাপানে। স্বপ্নের দেশে তারা খেলবেন দুই ম্যাচ। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি খেলা। ৪০ মিনিটের ম্যাচ, এমন ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত না বাংলাদেশের মেয়েরা।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড ছাড়া ১৮টি দলই জাপানের। বিভিন্ন একাডেমির দল অংশ নেবে। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, জাপান ট্যুর মেয়েদের অভিজ্ঞতায় কাজে লাগবে। নতুন কিছু শেখার আছে। যা তাদের সামনে কাজে লাগবে। বিশেষ করে এএফসি কাপ চূড়ান্ত পর্বে উজ্জীবিত থাকতে জাপান সফর টনিক হিসেবে কাজ করবে। বাফুফে এ ব্যবস্থা করায় ধন্যবাদ জানাই।

সর্বশেষ খবর