শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রুমানাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রুমানাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু

অনুশীলন মাঠে জাতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটাররা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জেতার স্বপ্নও ছিল না রুমানা আহমেদদের। কিন্তু সেই অবিশ্বাস্য কাজটিই করেন রুমানারা। লো-স্কোরিং ম্যাচে খাদিজাতুল কুবরার স্পিনে হারিয়ে দেন প্রোটিয়াস মহিলা ক্রিকেট দলকে। সেই দলের বিপক্ষেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলবে বাংলাদেশ মহিলা দল। ৭-২৩ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কায় শুরু বাছাইপর্বে রুমানাদের গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ডও। গ্রুপের সেরা দুই দল খেলবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। যা আগামী ২৬ জুন থেকে ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ইংল্যান্ডে। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে রুমানারা টার্গেট করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দলকে। দলটির বিপক্ষে ম্যাচ ১১ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মহিলা দলের প্রথম ম্যাচ ৭ ফেব্রুয়ারি, প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ও ১০ ফেব্রুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ। রুমানাদের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গতকাল কোচ ডেভিড ক্যাপেলের উপস্থিতিতে। মজার বিষয় দলের সঙ্গে এখনো যোগ দেননি প্রধান নির্বাচক ও ম্যানেজার আতহার আলি খান। মহিলা ক্রিকেটাররা যখন কক্সবাজারে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছিলেন, আতহার তখন নিউজিল্যান্ডে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন।  প্রোটিয়াস মহিলা দলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। টি-২০ এশিয়া কাপে ভারতের কাছে ৬৪ রানে, পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে ও শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল। টি-২০ এশিয়া কাপের পর পরই চলতি মাসে কক্সবাজারে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের। তৃতীয় ওয়ানডে ছাড়া প্রতিটি ম্যাচেই হেরেছে গো হারা। তারপরও বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুমানা টার্গেট করেছেন প্রোটিয়াস মহিলা দলকেই, ‘কিছুদিন আগে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দলের বিপক্ষে খেলেছি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও তাদের বিপক্ষে খেলব। যদিও সিরিজ হেরেছি। তারপরও আমরা তাদেরকেই টার্গেট করেছি। আশা করি তাদের বিপক্ষে জিততে পারব। এজন্য আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই ভালো খেলতে হবে।’ গ্রুপের আরেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। দলটির বিপক্ষে তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই রুমানাদের। গ্রুপে বাকি যে দুই দল আছে, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার বিষয়ে আশাবাদী অধিনায়ক, ‘এই দুটি দল সম্পর্কে আমাদের ধারণা রয়েছে। তাদের বিপক্ষে জয়ের বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

প্রোটিয়াস দল যখন ২-৩ ম্যাচে আড়াইশ রানের উপর করেছে। তখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৬৫। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। দলের মূল শক্তি হিসেবে কোনো বিভাগকেই আলাদা করে বলতে নারাজ রুমানা, ‘ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই আমাদের ক্রিকেটাররা ভালো। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা এটা প্রমাণ করেছি। আমাদের অভাব শুধু অভিজ্ঞতা। আমরা যদি বেশি বেশি করে ম্যাচ খেলি, তাহলে এই সমস্যাটুকু কেটে যাবে।’

সর্বশেষ খবর