শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

এএফসি কাপে আবাহনী মোহনবাগানের লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এএফসি কাপে আবাহনী মোহনবাগানের লড়াই

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অভিজ্ঞ সংগঠক হারুনুর রশীদ। কাজী ইনাম আহমেদ (ডানে) ও সত্যজিত দাস রুপু —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল ঢাকা আবাহনী। সর্বোচ্চ লিগ শিরোপা জিতেছে জনপ্রিয় দলটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলে আবাহনী সেভাবে সাফল্য পাচ্ছে না। ঢাকা মোহামেডান তিনবার এশিয়ান ক্লাব কাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। কিন্তু আবাহনীর সেই গৌরব নেই। যাক অতীতকে ভুলে গিয়ে আবাহনী এবার ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপে অংশ নিচ্ছে। পেশাদার লিগে শিরোপা জেতায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে ঢাকা আবাহনী। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ই গ্রুপে আবাহনী ১৪ মার্চ প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড আরসির বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। মাজিয়া স্পোর্টস ১২ মার্চ ঢাকায় আসছে। এএফসি কাপে গ্রুপপর্ব এশিয়ার ৩৬টি শিরোপাধারী দলকে ৪টি দলের সমন্বয়ে ৯টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে। এসব দলকে আবার পাঁচ জোনে ভাগ করা হয়েছে। দক্ষিণ জোনে ‘ই’ গ্রুপে ঢাকা আবাহনী, মাজিয়া স্পোর্টস, ভারতের জেএস ডব্লিউ বেঙ্গালুরু ও কলকাতা মোহনবাগান অংশ নেবে।

ফেডারেশন কাপও পেশাদার লিগে শিরোপা জিতলেও ঢাকা আবাহনী শেখ কামাল ক্লাব কাপে সুবিধা করতে পারেনি। গ্রুপপর্ব খেলেই বিদায় নিয়েছে। তারপরও গতকাল সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্টে আবাহনীর দল নেতা অভিজ্ঞ সংগঠক হারুনুর রশিদ দৃঢ়ভাবে বলেছেন লক্ষ্য আমাদের পরবর্তী রাউন্ডে খেলা। পেশাদার লিগে নির্ভরযোগ্য দুই বিদেশি লি টাক ও সানডে এএফসি কাপে খেলছে না। তিন বিদেশি হিসেবে ইউসুফ সামাদ, এমেকা ডার্লিংটন ও ডেভিড জোনাথনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। দলের শক্তি বাড়াতে অতিথি খেলোয়াড়ও নেওয়া হয়েছে। ৩১ মে ই গ্রুপের খেলা শেষ হবে। এর মধ্যে আবার দলবদল শুরু হয়ে যাবে। এএফসি কাপে যাদের নাম রেজিস্ট্রেশন করা তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবাহনী ছেড়ে যাচ্ছেন। এর প্রভাব কি পড়বে না? দলীয় ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বলেন, টুর্নামেন্টে আমরা যে ৩০ জনের নাম রেজিস্ট্রেশন করেছি তাদেরকেই খেলতে হবে। এখানে নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। পরবর্তী রাউন্ডে উঠলে খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যাবে। রুপু বলেন, আবাহনী প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। এখানে দেশের সুনাম জড়িত। অন্য দলও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমাদের খেলোয়াড় নিয়ে থাকে। জানপ্রাণ দিয়েই তারা লড়ে। হয়তো কেউ কেউ এবার আবাহনী ছেড়ে যাবে। কিন্তু তাদের নাম যখন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে দেশের কথা ভেবে তারা এএফসি কাপে জানপ্রাণ দিয়ে লড়বে। আমি বিশ্বাস করি আবাহনী এএফসি কাপে পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে। মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস নিঃসন্দেহে শক্তিশালী দল। গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। কিন্তু এএফসি কাপে ই গ্রুপে মূল আকর্ষণ ঢাকা আবাহনী ও কলকাতা মোহনবাগান। বেঙ্গালুরু জেএস ডব্লিউ ভারত চ্যাম্পিয়ন। মোহনবাগান প্লে অফ ম্যাচে জেতার সুবাদে টুর্নামেন্টে সুযোগ পেলেও তাদের পরিচিত অন্য রকম। অনেকদিন পর ঢাকা আবাহনী ও মোহনবাগান মুখোমুখি হচ্ছে। ৪ এপ্রিল কলকাতা রবীন্দ্র সরবর স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ে ম্যাচে আবাহনী লড়বে মোহনবাগানের বিপক্ষে। ৩১ মে ঢাকায় দুই দলের ফিরতি ম্যাচ। আশা করা যাচ্ছে এই ম্যাচ দেখতে দর্শকরা ভিড় জমাবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলা দেখতে টিকিট লাগবে না। তবে তাদের আইডি কার্ড দেখাতে হবে। ফুটবলে এমনিতেই গ্যালারি থাকছে ফাঁকা। তারপরও ঢাকায় এএফসি উচ্চ মূল্য টিকিট কিনতে হবে। ১ ও ২নং ভিআইপি আসনে ১০০ ও ১৫০ এবং সাধারণ গ্যালারিতে টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। ঢাকায় বিদেশি দলগুলোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে হারুনুর রশিদ, সত্যজিত দাশ রুপু ছাড়াও পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, অভিজ্ঞ সংগঠক অধ্যাপক শাহ আলম ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক  আবু নাইম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর