রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

কোথায় যাচ্ছে ফুটবল?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোথায় যাচ্ছে ফুটবল?

র‌্যাঙ্কিং দিয়ে ফুটবলের মান বিচার করা ঠিক হবে না। বাফুফে কর্মকর্তারা বলেন, জার্মানি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তবুও তো তারা ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে নেই। ফুটবলে র‌্যাঙ্কিং ওঠা-নামা করতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশের উপরে ওঠার তো কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না, নামছে তো নামছেই। ভুটানের পেছনে বাংলাদেশ থাকবে তা কি কেউ ভেবেছিলেন? অথচ সেই লজ্জায় এখন হাবুডুবু খাচ্ছে দেশের ফুটবল। আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা নতুন যে র‌্যাঙ্কিং ঘোষণা করেছে সেখানে ভুটানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক পেছনে। ভুটান ১৭৭ আর বাংলাদেশ কিনা নেমে এসেছে ১৯৩-এ।

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে লড়াই হতো। কখনো কখনো ভারতকে টপকানোর রেকর্ডও রয়েছে। অথচ সেই বাংলাদেশের ফুটবলে কি অধঃপতন? শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সবাই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। এক সময়ে মালদ্বীপ বা নেপালকে নিয়ে ছেলেখেলা খেললেও ফুটবলে তারা অনেক আগেই উন্নতি করেছে। সুতরাং র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের এগিয়ে যাওয়াটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু ভুটানের পেছনে পড়বে এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কি হতে পারে। ভুটান কিন্তু যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়ে ওপরে উঠে এসেছে। কিছুদিন আগে থিম্পুতে এশিয়া কাপ প্রাক-বাছাই পর্বে ভুটান শোচনীয়ভাবে হার মানিয়েছে বাংলাদেশকে।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এমন অধঃপতনের পর সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বা অন্য কর্মকর্তারা কী বলবেন? লজ্জায় মুখ খুলতে না পারলেও নির্বাহী কমিটি এক সদস্য মোবাইল মেসেজে উল্লেখ করেছেন, সত্যিই আমরা লজ্জিত। জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কী করতে পারি। তিনি যে লজ্জিত, এ জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারেন। কেননা অন্যরা তো বলছেন র‌্যাঙ্কিং কোনো ফ্যাক্টর নয়। কিন্তু কিছু করার নেই তা মানা যায় কীভাবে?

ফুটবলকে এগিয়ে নিতেই তো তারা বাফুফের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু কী করছেন? বিশেষ করে সালাউদ্দিন সভাপতি হওয়ার পর তো ফুটবল আর আলোর মুখ দেখছে না। অথচ তাকে ঘিরেই ফুটবলপ্রেমীদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। ফলাফল যে শূন্য র‌্যাঙ্কিংয়ের এই অবস্থানের পর আর কোনো সংশয় নেই। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বললেন, এ নিয়ে আমি মোটেই বিস্মিত নই। ফুটবলে এই অবস্থায় ১৯৭ কেন দুশোতে নামলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর্জেন্টিনা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ সবার পেছনে নেই এটাই বড় সান্ত্বনা। কথা হচ্ছে যাদের নিয়ে ভাবার কথা তারা কি বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন? ফুটবলে দুর্দশা ঠেকাতে তারা তো কোনো পরিকল্পনা নিতে পারছে না। শুধু মুখে মুখে হ্যাঙ করেংগা ত্যাঙ করেংগা যত বড় বড় কথা। ভাগ্যিস ক্লাবগুলো দল গড়ার ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে না। বলা যায় বাংলাদেশের ফুটবল যতটুকু বেঁচে আছে তা ক্লাবগুলোর কারণে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর