সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

অসাধারণ এক জয় : এনামুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অসাধারণ এক জয় : এনামুল

শততম টেস্টে দেশের ঐতিহাসিক জয় দেখতে কাল সারা দিন কোনো কাজ রাখেননি। কলম্বোর পি সারা ওভাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ১০০তম টেস্টের ঐতিহাসিক জয়টি উপভোগ করেছেন পরিবারের সঙ্গে। এনামুল জুনিয়র এ দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক। ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে (৬-১০ জানুয়ারি) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৬ রানের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক এনামুল। প্রথম টেস্টের নায়ক শততম টেস্টে জয়ী ক্রিকেটারদের জানিয়েছেন অভিনন্দন। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এ কথা বলতেও ভুলেননি, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তার নামটি লেখা থাকবে সোনালি অক্ষরে। শততম টেস্টের জয়টিকে বলেছেন অসাধারণ।

বয়স ৩১। এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন দাপটের সঙ্গে। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ছিল নিচের দিকে। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের সমালোচনাগুলো তীর হয়ে বিঁধছিল বাংলাদেশের বুকে। তার সমুচিত জবাব দিয়েছিলেন এনামুল, হাবিবুল বাশাররা চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অসাধারণ জয়টি ছিল বাংলাদেশের প্রথম। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজীবন লেখা থাকবে ওই জয়ের কথা। নাফিস ইকবাল, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ ও মোহাম্মদ রফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৮৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে রফিকের ঘূর্ণিতে ৩১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ম্যাচসেরা এনামুল ২৬ ওভারের স্পেলে ৫৫ রান দিয়েছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২০৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ৩৮১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। এনামুল ২২.৫ ওভারের স্পেলে ৪৫ রানের খরচে নেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করায় ম্যাচসেরা হন তিনি। ১৫ টেস্টে ৪৪ উইকেট নেওয়া এনামুলের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত ছিল ওই টেস্ট, ‘সমালোচকরা এতটাই সমালোচনা করছে যে, আমাদের জবাব দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে চট্টগ্রামে জিতেছিলাম। ওই টেস্টের ম্যাচসেরা হয়েছিলাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন আমার নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে।’ শততম টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক, ‘১০০তম টেস্ট আলাদা একটি মাইলফলক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর