মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

জয় দিয়ে তামিমের জন্মদিন উদযাপন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জয় দিয়ে তামিমের জন্মদিন উদযাপন

জন্মদিনে সপরিবারে তামিম ইকবাল

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং শ্রীলঙ্কার দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হতে পারতেন সাকিব আল হাসান। এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পরও কলম্বোর পি সারা ওভাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ১০০তম টেস্টে ম্যাচসেরা হতে পারেননি সাকিব। জুরি বোর্ড ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেন বাঁ হাতি ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবালের হাতে। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৮২ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংসই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়কে সহজ করে দেয়। তাই জুরি বোর্ড দ্বিতীয়বার চিন্তা করেননি। ১০০তম টেস্টে ম্যাচসেরা হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে গেলেন তামিম। বাঁ হাতি ড্যাসিং ওপেনারের গতকাল ছিল জন্মদিন। ২৮তম জন্মদিনটি পরিবারের সঙ্গে পালন করেছেন মুম্বাইয়ে। ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দটিকে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে তামিম কলম্বো থেকে উড়াল দেন মুম্বাইয়ে।

১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ চট্টগ্রামের এক ক্রীড়া পরিবারে জন্ম তামিমের। বাবা ইকবাল খান ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলের পরিচিত এক নাম। চাচা আকরাম খানতো  এ দেশের ক্রিকেটের মহা তারকা। ভাই নাফিস ইকবালও দেশের জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এমন একটি ক্রীড়া পরিবারের সদস্য বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সফল ক্রিকেটার। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেট-তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। ৪৯ টেস্টে ৩৬৭৭ রান, ১৬২ ওয়ানডেতে ৫১২০ রান ও ৫৫ টি-২০ ম্যাচে ১২০২ রান করেছেন তিনি। কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ে অবদান রাখা তামিম ক্যারিয়ারে বহু জয় উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশকে। মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের ম্যাচে অবদান অনেক। প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪০ রান।  জাতীয় দলের পক্ষে ১০ বছর ধরে খেলছেন তামিম। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের ম্যাচে খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস। ওই আসরে ভারতকে পেছনে ফেলে সুপার এইটে খেলেছিল টাইগাররা। একই বছর কেনিয়ায় টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক। টেস্টে অভিষেক পরের বছর। হারারেতে অভিষেক ওয়ানডেতে ৩২ বলে খেলেছিলেন ৩০ রানের ইনিংস। ২০০৮ সালে ডুনেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে খেলেছিলেন ৫৩ ও ৮৪ রানের জাত চেনানো ইনিংস। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্টের কিংস্টন টেস্টে খেলেন ১২৮ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। ওটাই ছিল বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। ওই ম্যাচের নায়ক ছিলেন তিনি। ওই বছরই বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩১৩ রান চেজ করে বাংলাদেশ তামিমের ১৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে। যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। টেস্ট ক্রিকেটে ২০৬ রানের ইনিংসও রয়েছে তার।

বাংলাদেশের বহু ম্যাচ জয়ের নায়ক তামিম। ২০১২ সালের এশিয়া কাপ ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন। টানা চার ম্যাচে চারটি হাফসেঞ্চুরি করে তাক লাগিয়ে দেন ক্রিকেটবিশ্বকে। অনেক কীর্তির নায়ক তামিম আবার বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন। টি-২০ বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখেন তামিম।২৫ মার্চ থেকে ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে লম্বা সময় গ্যাপ থাকায় তামিম পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই উড়ে যান মুম্বাই। সেখানেই উদযাপন করেন ২৮তম জন্মদিন।

সর্বশেষ খবর